মুসলিম বিশ্বআরও »
গালফ্ কোঅপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) ফিলিস্তিনী জনগনের বিরুদ্ধে ইসরাইলী আগ্রাসন বন্ধে ইসরাইলের মিত্র দেশসমূহের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছে। এক্ষেত্রে এসব দেশ তাদের সরকারকে বুঝাতে ব্যর্থ হওয়ায় সংস্থাটি তাদের কড়া সমালোচনা করে। জিসিসি’র মহাসচিব জসিম মোহাম্মদ আল-বুদায়ী আহ্বান জানিয়ে বলেন, গাজায় ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন অবশ্যই বন্ধ হতে হবে। গত রোববার কুয়েতে অনুষ্ঠিত ৪৫ তম জিসিসি সম্মেলনের একদিন আগে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, গালফ্ ব্লক গাজায় যুদ্ধ বন্ধে সম্ভব সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে তাদের বর্বর কর্মকান্ডের পূর্ন দায়ভার গ্রহন করতে হবে দখলদার ইসরাইলকে। আল-বুদায়ী যুদ্ধবন্ধে যথেষ্ট চেষ্টা না করার জন্য বড়ো বড়ো শক্তিগুলোর কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এমনকি ইসরাইলের ঘনিষ্টতম মিত্ররাও তার সরকারকে যুদ্ধ বন্ধে প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হয়। সাবেক কুয়েতী কূটনীতিবিদ আল বুদায়ী বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার উন্নয়নে সমন্বিত বৈদেশিক নীতি গ্রহনে জিসিসি’র বিশেষ অবস্থানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জিসিসি’র সদস্য দেশগুলোকে একটি বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে বিবেচনা করে কোন রাখ ঢাক ছাড়াই। সৌদী আরব, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন ও ওমানসহ বিভিন্ন উপসাগরীয় আরব দেশ নিয়ে গঠিত জিসিসি বিশ্বাস করে যে, উপসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য ফিলিস্তিনী সমস্যার একট ন্যায়সংগত সমাধান আবশ্যক। ১৯৮১ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের ইশতেহারে গালফ্ গ্রুপের নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন যে, উপসাগরীয় অঞ্চলের …


ধর্ম-দর্শনআরও »
প্রবৃত্তির দাসত্ব, লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষসহ মনের পশুত্বকে পরাভূত করার শিক্ষা নিয়ে আবারও এসেছে ঈদুল আজহা। শনিবার বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ত্যাগের মহিমায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব। একইসঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতেও আজ ঈদুল আজহা উদযাপন করা হচ্ছে। শনিবার সকালে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব, কাতার, ওমান, আমিরাত (ইউএই), ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইনে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা মহামারির বৈশ্বিক অভিঘাত সামলে এ বছর বিভিন্ন দেশে অনেকটাই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত হয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করছেন মুসল্লিরা। উন্মুক্ত পরিবেশে হচ্ছে ঈদের জামাত। মক্কার কাবা শরিফ, মদিনার মসজিদে নববিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় মসজিদের ভেতরে প্রথম সারিতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন আমির ও শেখরা। পবিত্র কাবা শরিফে ঈদের নামাজ পড়ান ও খুতবা দেন কোরআনের প্রসিদ্ধ কারি প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও সুমধুর কণ্ঠের অধিকারী শায়খ ড. আব্দুল্লাহ আওয়াদ আল-জুহানি। আর মসজিদে নববিতে নামাজ পড়ান প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও প্রসিদ্ধ ইমাম শায়খ ড. আব্দুল বারি আল-থুবাইতি। এদিকে ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে পবিত্র আল আকসা মসজিদের সামনে সকালে জড়ো হন পশ্চিমতীরের মুসল্লিরা। আদায় করেন পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত। ওই জামাতে অংশ নিতে দেখা গেছে হাজারো ফিলিস্তিনিকে। সৌদির বাদশাহ সালমান এবং যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) মোহাম্মদ বিন সালমান ঈদুল আজহা উপলক্ষে মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের …

স্বাস্থ্যআরও »
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি সতর্কতা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল শনিবার ডব্লিউএইচওর জরুরি কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন সংস্থাটির প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের পেছনে রয়েছে মাঙ্কিপক্স নামের ভাইরাস। এটি স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির। করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই উত্তর আমেরিকা, ইউরোপসহ বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭৫ দেশে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচওর প্রধান। তিনি বলেন, ‘মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণকে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্যসতর্কতা হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি সারা বিশ্বের জন্য উদ্বেগের।’ বৈশ্বিক স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি সতর্কতা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বোচ্চ সতর্কতা। এই মুহূর্তে করোনা ও পোলিও নির্মূল করার চলমান প্রচেষ্টার ক্ষেত্রেও সংস্থাটির একই সতর্কতা জারি রয়েছে। উল্লেখ্য, এই ভাইরাসটি কিভাবে একে-অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ত নিয়েও রয়েছে নানা মত। তবে বিশ্বে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে হওয়া সবচেয়ে বড় গবেষণা অনুসারে, মাঙ্কিপক্সের ৯৫ শতাংশ সংক্রমণ ছড়িয়েছে যৌন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে। এতে যৌনাঙ্গে একক ক্ষতের মতো নতুন ক্লিনিকাল লক্ষণগুলোর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ নিয়ে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। মূলত মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই গবেষণাটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞরা এই প্রাদুর্ভাবেকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করবেন কি না তা নিয়ে বিতর্ক …
গ্যালারীআরও »
ভিডিওআরও »
এরদোগানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার খবর প্রকাশের পর মসজিদ আয়া সোফিয়ার দৃশ্য
২০২৩ সালের হাজীদের প্রথম দল মদীনায় আগমন
Eid Mubarak ঈদ মোবারাক
Back to top button