ইসরায়েলের এই বর্বর হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যা

গাজায় হাসপাতালে ইসরায়েলের বোমা হামলা, নিহত অন্তত ৫০০

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একটি হাসপাতালে ইসরায়েলের বোমা হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন। অনেকেই হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। আজ মঙ্গলবার রাতে মধ্য গাজার আল আহলি আরব হাসপাতালে এই হামলা চালানো হয়।
ওই হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলায় আহতসহ শত শত রোগী ভর্তি ছিলেন। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হওয়া অনেক ফিলিস্তিনি সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে গাজা কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন গণমাধ্যম ইসরায়েলের এই বর্বর হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজায় এভাবে বেসামরিক মানুষের ওপর হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করছে বলে মনে করছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর। হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাবিনা শামদাসানি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজায় প্রতিদিন যুদ্ধসংক্রান্ত আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
গাজার উত্তরাঞ্চলের ১১ লাখ বাসিন্দাকে দক্ষিণে সরে যাওয়ার যে নির্দেশ ইসরায়েল দিয়েছে, তার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করে লোকজনকে জোর করে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে বলে মনে করছেন রাবিনা শামদাসানি। ওই নির্দেশের পর উত্তর গাজা থেকে পালাতে থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
হাসপাতালের হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগেরি বলেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগেই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
এদিকে হাসপাতালে হামলার ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এর আগে ১১ দিন ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল উপত্যকাটির কর্তৃপক্ষ। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত সাড়ে ১২ হাজার মানুষ।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি সেনাদের ঘেরাওয়ের মধ্যে থাকা গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানিসংকট চরমে পৌঁছেছে। হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও রক্তের অভাবে চলছে হাহাকার। জাতিসংঘের খাদ্য বিতরণকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ রেশনের খাবার পাচ্ছেন না। পান করতে হচ্ছে দূষিত পানি।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, খুব শিগগিরই উপত্যকাটিতে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button