গুরুতর মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগের সম্মুখীন নেতানিয়াহু

‘গাজার কসাই’ হিসেবে আখ্যায়িত এবং এডলফ্ হিটলারের সাথে তুলনীয় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় থাকার দিন হাতে গোনা। গাজায় গণহত্যার দ্বিতীয় বছরে পদার্পনে ইসরাইল এবং বিশেষভাবে তার প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট কিছু সবচেয়ে গুরুতর মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগের সম্মুখীন।
ইসরাইল রাষ্ট্র ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) গণহত্যার মামলার সম্মুখীন, যখন নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে। আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার দু’জন খ্যাতিমান ব্যক্তির অভিমত হচ্ছে, নেতানিয়াহু তাৎপর্যপূর্ন ঝুঁকির মুখে, রাজনৈতিক এবং আইনী উভয় ক্ষেত্রেই।
সম্প্রতি আইসিসি’র একজন প্রি-ট্রায়াল চেম্বার প্রসিকিউটার করিম খানের অনুরোধের বিষয়টি বিবেচনা করছেন। করিম খান ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং হামাসের নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বিষয়ে তার অনুরোধ নিয়ে পরিকল্পনা করছেন। যদি আইসিসি গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে অগ্রসর হয়, তবে নেতানিয়াহু কার্যকরভাবেই একজন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবেন এবং ১২০ টিরও বেশী দেশ আইনানুগভাবে তাকে গ্রেফতারে বাধ্য থাকবে, যদি কখনো তিনি তাদের ভূখন্ডে পা রাখেন।
রীড ব্রডি হচ্ছেন একজন খ্যাতিমান যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক প্রসিকিউটার, যিনি চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট অগাস্তো পিনোচেট এবং চাদের সাবেক নেতা হিসেনি হাবরির বিচারকার্যের সাথে জড়িত ছিলেন।
তার মতে, ইসরাইলী নেতৃবৃন্দের বিশেষভাবে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসি’র গ্রেফতারী পরোয়ানা হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে একটি বড়ো ধরনের অগ্রগতি। এটা আধুনিক ইতিহাসে হবে প্রথম ঘটনা, যাতে আইসিসি প্রসিকিউটার পশ্চিমাদের একজন মিত্রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইবেন এবং তা গৃহীত হবে। রীড ব্রডি আরো বলেন, যদি ইস্যু হয়, তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button