তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপারে হুঁশিয়ার করেছেন এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন বলে সতর্ক করেছেন তুরস্কসহ সমগ্র বিশ্বকে। তিনি এটা স্পষ্ট করেছেন যে, যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের কাছে জবাবদিহি নন। পশ্চিমা দেশসমূহ শুধুই যে নেতানিয়াহুকে নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম এমন নয়, বরং তারা অস্ত্র বোমা সরবরাহের মাধ্যমে তাকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করছে এবং সামরিক অভিযানে প্ররোচনা দিচ্ছে, সেসব অস্ত্রশস্ত্র ও বোমা বেসামারিক লোকজন হত্যায় ব্যবহৃত হচ্ছে ।
গত সপ্তাহে এরদোগান গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ এবং লেবাননে তাদের হামলা সম্পর্কে একটি ব্যতিক্রমধর্মী উচ্চ পর্যায়ের সর্তকতামূলক ভাষণ প্রদান করেন। তিনি তার ভাষণে যুদ্ধ বন্ধের জন্য একটি ফ্রেমওয়ার্ক স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেন।
এছাড়া তিনি উল্লেখ করেন যে, মুসলিম দেশসমূহ ও বিশ্ব উভয়ই একটি
আঞ্চলিক কিংবা বৈশ্বিক যুদ্ধের হুমকির মুখে। একই সময়ে তিনি এই মর্মে গুরুত্ব আরোপ করেন যে, বিশ্বের সুপারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানসমূহ দেউলিয়া। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ অকার্যকর এবং মানবাধিকার, জুডিশিয়াল ও ক্রিমিনাল আদালত সমূহের পদক্ষেপ সত্বেও নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হচ্ছে না। হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার কয়েকদিন পর ইসরাইল লেবাননে একটি স্থল অভিযান পরিচালনা করে।
লেবাননী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বউ হাবিব জানান যে, একটি ২১ দিনের যুদ্ধ বিরতিতে ইসরাইল হাসান নাসরুল্লাহকে লক্ষ্যবস্তু করে। আমরা সম্পূর্ণ সম্মত ছিলাম যুদ্ধ বিরতির ব্যাপারে।
তিনি বলেন, হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার ঠিক আগে লেবানন একটি যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত ছিলো। তবে হিজবুল্লাহর সাথে আলোচনায় সম্মত হয়েছিলো এবং আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সকে তা জানিয়েছিলাম।
এরদোগান বলেন যে , ইহুদীরা তথাকথিত ‘প্রতিশ্রুত ভূখণ্ডে’র নামে এসব হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে এবং ৩ হাজার বছর ব্যাপী একটি বিকৃত ধর্মীয় বিশ্বাস ও কুসংস্কার থেকে বিশ্বকে রক্তের সাগরে নিক্ষেপ করেছে।