জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর ইসরাইলী হামলার তীব্র নিন্দা
ইসরাইল ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি ক্রমবর্ধমান আহ্বান উপেক্ষা করে লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পলিসি প্রধান বোরেল একটি ধারাবাহিক ইসরাইলী হামলার নিন্দা জানিয়ে এটাকে সম্পূর্ন অগ্রহনযোগ্য বলে আখ্যায়িত করেছেন। এসব হামলায় জাতিসংঘ সৈন্যরা আহত হন।
তিনি আরো বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ সদস্য দেশ ইসরাইলকে ইউনাইটেড ন্যাশন্স ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবাননের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধ করতে বলতে সম্মত হয়েছে। জাতিসংঘের সৈন্যদের ওপর হামলা সম্পূর্ন অগ্রহনযোগ্য।
বোরেলের বক্তব্য হচ্ছে, এই মিশনে অনেক ইউরোপীয় সদস্যও অংশ নিচ্ছেন। তাদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। জাতিসংঘ গত রোববার জানায় যে, ইসরাইলী ট্যাংকগুলো দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের একটি ঘাঁটির গেইট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। ইসরাইলী আইন লংঘনের এটা সর্বশেষ ঘটনা। এ ঘটনার পর এই নিন্দা জানানো হয়।
লেবাননে মোতায়েন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী তাদের অবস্থানসমূহে ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরাইলী সামরিক বাহিনীর গুলিবর্ষনের জন্য তাদের অভিযুক্ত করেছে। ১৯৭৮ সালে লেবাননে ইসরাইলী আগ্রাসনের পর বিভিন্ন দেশের সাড়ে ৯ হাজার সৈন্যের সমন্বয়ে ন্যাশন্স ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবানন (ইউনিফিল) গঠন ও মোতায়েন করা হয়।
ইউনিফিল শান্তিরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, গত রোববার খুব ভোরে দু’টি ইসরাইলী মারকাভা ট্যাংক তাদের একটি ঘাঁটির মূল ফটক ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। ট্যাংকগুলো ঘাঁটি ছেড়ে যাবার পর এর ১০০ মিটার দূরে কয়েকটি শেল বিস্ফোরিত হয়। এর প্রচুর ধোঁয়ার কুন্ডলী সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে শান্তিরক্ষীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অপরদিকে ইসরাইলী সামরিক বাহিনীর বক্তব্য হচ্ছে, ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ইসরাইলী সৈন্যদের লক্ষ্য করে ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল নিক্ষেপ করে, এতে তাদের ২৫ জন আহত হয়। তাদের দাবি, এটা কোনভাবেই ঘাঁটিতে অনুপ্রবেশ নয়।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেইন জুডারিক বলেন, জাতিসংঘের পতাকা উড়তেই থাকবে। এর আগে, ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু লেবানন থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহারের দাবি জানান।