ইংল্যান্ডের অধিকাংশ স্ট্রোক রোগী জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা পেতে সক্ষম হচ্ছেন না

এক নতুন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইংল্যান্ডের অধিকাংশ জরুরী স্ট্রোকের রোগী জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা পেতে সক্ষম হচ্ছেন না। অথচ এ ধরনের চিকিৎসা না পেলে তাদের মারাত্মক পঙ্গুত্ব এমনকি মৃত্যুবরণের আশঙ্কা বিদ্যমান।
দেখা গেছে, স্ট্রোক রোগীদের কমপক্ষে ১০ শতাংশ মেকানিক্যাল থ্রোমবেক্টমি নামক চিকিৎসার সুবিধা পেতে পারে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে একটি সুক্ষ্ম তার ও স্টেন্ট মস্তিষ্কের দিকে চালিত করা হয়, যাতে রক্ত প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী জমাট রক্ত বের করে আনা হয়। এ ধরনের চিকিৎসা স্ট্রোকের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করে এবং সংশ্লিষ্ট রোগী পরদিন হেঁটে হাসপাতাল ত্যাগ করতে সক্ষম হয়। অবশ্য কিংস হসপিটাল লন্ডন ভিত্তিক সেন্টিনাল স্ট্রোক ন্যাশনাল অডিট প্রোগ্রামের (এসএসএনএপি) পরিসংখ্যানে বছরের প্রথম তিন মাসে লভ্য তথ্য থেকে দেখা যায়, ইংল্যান্ডে মাত্র ৪.৩ শতাংশ রোগী প্রসিডিওরস্ অর্থাৎ চিকিৎসা পদ্ধতিসমূহ পাচ্ছে। ২০২০ সালের জুন মাসে স্ট্রোকের পর পদ্ধতিটি গ্রহণকারী ৬৪ বছর বয়সী পিটার হুপার বলেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে প্রয়োজন আছে এমন সব রোগীকে এই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এসব রোগী প্রথম সারির জরুরী রোগী, কারণ প্রতি মিনিটে তাদের প্রায় ২০ লাখ মস্তিষ্কের কোষ মারা যায়, যতক্ষণ না রক্ত প্রবাহ পুনরায় স্বাভাবিক হয়।
গত বৃহস্পতিবার এনএইচএস এর মেডিকেল ডিরেক্টর অধ্যাপক স্যার স্টিফেন পাউয়িস স্ট্রোক-অন-টেন্টে অনুষ্ঠিত মেকানিকাল থ্রোমবেক্টমি সচেতনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, এটা একটি অন্যতম কার্যকর ক্লিনিক্যাল পদক্ষেপ এবং যারা স্ট্রোকে আক্রান্ত তাদের জন্য ট্রান্সফরমেটিভ বা বিস্ময়কর রূপান্তরের মত অবস্থা।
পাউয়িস জানান, চলতি বছর তিনি ইংল্যান্ডে ২৪ টি মেকানিকাল থ্রোমবেক্টমি সেন্টার পরিদর্শন করেছেন এই চিকিৎসাকে সহায়তা দিতে। এক্ষেত্রে লোকবল ও যন্ত্রপাতির অভাব দেখতে পেয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button