নীরব ভূমির সরব বিস্ময় !

Landজোন অব সাইলেন্স বা নীরব ভূমি এ পৃথিবীতে আজও এক সরব বিস্ময়। নীরব ভূমির অবস্থান মেক্সিকোতে। মূলত মেক্সিকোর এক মরু এলাকা নীরব ভূমি। এ নীরব মরুতে সব সময়ই অদ্ভুত অদ্ভুত রহস্যময় ঘটনা ঘটে। রহস্যময় এ এলাকার অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন, এর চতুর্দিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার, রহস্যময় ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করে। সেইসঙ্গে রাতের গুমোট আঁধারে উল্কা বৃষ্টি নামে।
কেউ যদি সেখানে টেপ রেকর্ডার বাজাতে থাকে তাহলে হঠাৎই সেটা থেমে যায়! এ এলাকায় হঠাৎ করেই চলন্ত গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়! মজার ব্যাপার হল, জোন অব সাইলেন্স এবং বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল একই অক্ষাংশে অবস্থিত। এ মরুভূমির পোকামাকড়গুলোও স্বাভাবিক পোকামাকড়ের চেয়ে দুই-তিনগুণ বড়। এখানে প্রায় নিয়মিতই রাতের বেলায় উল্কাপিণ্ড ছিঁটকে পড়ে। জোন অব সাইলেন্সের পাথরগুলোও এমন ভুতুড়ে যে কম্পাস পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়! এ এলাকার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় পাইলটরা অভিযোগ করেছেন, তাদের সবকিছু কেমন যেন বিভ্রান্তিকর ঠেকে! নীরব ভূমির দৈত্যাকার ক্যাকটাস গাছগুলো টকটকে লাল রংয়ের। কিন্তু এ গাছই যখন এ এলাকার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তা সম্পূর্ণরূপে রং হারিয়ে ফেলে !
এখানকার বেঁটে হরিণগুলোর শিং মানুষের কব্জির মতো মোটা। আর বিছাগুলো কোনোটাই লম্বায় এক ফুটের কম নয়। এগুলোর মাথা টকটকে লাল। জোন অব সাইলেন্সের এমন অদ্ভুত পরিবেশের কারণে কোনো মানুষ বসতি গড়ার শখ করেনি। ১৯৭০ সালে ইউএস এয়ারফোর্স ‘অ্যাথেনা’ নামে একটি ‘মিসাইল’ উটাহর গ্রিন রিভার থেকে নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডে নিক্ষেপের জন্য প্রোগ্রাম করে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button