ফিলাডেলফিয় করিডোর নিয়ে ইসরাইলের কারসাজি
মিশরের বিরুদ্ধে আনীত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর অভিযোগ সমূহের ব্যাপারে নিন্দা জ্ঞাপন করেছে তুরস্ক। ইসরাইল কর্তৃক গাজায় সংঘটিত অপরাধ ধামাচাপা দিতে, জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং চলমান যুদ্ধবিরতিকে বাধাগ্রস্ত করতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী মিশরকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করছে। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে একথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, গাজার ফিলাডেলফিয়া করিডোরে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি বজায় রাখা সংক্রান্ত মিশর বিরোধী নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক অভিযোগসমূহ অগ্রহণযোগ্য।
তিনি বলেন, আমরা গাজায় যুদ্ধ বন্ধে আরব প্রজাতন্ত্র মিশরের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাসমূহকে সমর্থন করি এবং আমাদের লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি ভাই বোনদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে চাই।
গত সোমবার নেতানিয়াহু ফিলাডেলফিয়া করিডোর থেকে তার সামরিক বাহিনীর প্রত্যাহারে পুনরায় অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। বলা বাহুল্য, ফিলাডেলফিয়া করিডোর হচ্ছে, গাজায় মিশরের সীমান্তব্যাপী একটি অসামরিক এলাকা।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর দাবি, করিডোরটি হামাসকে অস্ত্রশস্ত্রে পুনঃসজ্জিতকরণে একটি মোক্ষম এলাকা এবং মিশরের সীমান্ত দিয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর কাছে অস্ত্র আসে। কায়রোর অভিযোগ, নেতানিয়াহু জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় জিম্মিমুক্তি ও যুদ্ধবিরতির বিষয়টিকে বাধাগ্রস্ত করতে মিশরকে জড়ানোর চেষ্টা করছেন।
তুরস্ক গাজায় ইসরাইলের অভিযানের ঘোর সমালোচক, যা অনেকের মতে গণহত্যাধর্মী। এছাড়া তুরস্ক ইসরাইলের প্রতি সমর্থন দানের জন্য তার অনেক পশ্চিমা মিত্রের নিন্দা করেছে। ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বিরোধী আলোচনার ক্ষেত্রে গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এর পাশাপাশি নেতানিয়াহু সরকারের প্রতি পশ্চিমাদের সহায়তা বন্ধের ব্যাপারেও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। গাজা যুদ্ধ কে কেন্দ্র করে আংকারা তেল আবিবের সাথে সকল বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এতে দেশ দু’টির মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান নেতানিয়াহুকে উপর্যুপরি নিন্দা জানিয়েছেন।