মোদীর পাকিস্তান বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গীর নেপথ্যে

সর্বশেষ অপকর্মের প্রায় দুই মাস আগে ভারতের নরেন্দ্র মোদী তার আরএসএস গুরু বীর সাভারকারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
হিন্দুত্ববাদের প্রতিষ্ঠাতা পিতা বা জনক হিসেবে বীর সাভারকারের ধ্যান ধারনা মোদীর কর্মকান্ডকে প্রভাবিত করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। আর ঐসব ধ্যান-ধারনা বলা যায় মৌলিক। সাভারকার বলেন, ভারতের উচিত জার্মানীর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করা।
নাৎসীবাদ গ্রহনের সকল অধিকার রয়েছে জার্মানীর যেমন ইতালির অধিকার রয়েছে তেমনি। কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের ধারা বাতিল করে কেন্দ্রের সাথে যুক্ত করার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদীর কাছে দেশের কোন আইনী বাধাই বাধা ছিলো না। এজন্য তিনি দেশে সর্বোচ্চ আইনকে টুকরো টুকরো করে ফেলতে দ্বিধাহীন। এখানেও সেই সাভারকারের ফ্যাসিস্ট ও নাৎসীবাদী মতবাদ অনুসরণ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
কাশ্মীরের জনগনের মতামত এখানে কোন বিষয়ই নয়। কথা হচ্ছে পহেলগামের হামলা কোন ঘটনা নয়, বরং ঘটনার জবাব। কাশ্মীরী মুসলমানদের গনহত্যা ও নির্যাতনের জবাব মাত্র। অবশ্য পাকিস্তান পহেলগামের ঘটনায় একটি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
হামলার নিন্দা ও শান্তি আলোচনার কথা বলেছে। কিন্তু এর জবাবে ভারত সিন্ধু নদীর পানি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষনা দেয়, যা সমগ্র জনগোষ্ঠীর জন্য হুমকি। এছাড়া ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়ে একটি ৩ বছরের শিশুসহ অনেক বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে। সকল ক্ষেত্রেই মোদীর সিদ্ধান্ত একই।
২০১৬ সালের উরিল, ২০১৯ সালের পুলওয়ামা এবং বর্তমানের পহেলগামের পেছনে পাকিস্তানকে দোষী সাব্যস্ত করা ও প্রতিশোধ গ্রহনই হচ্ছে তার নীতি। প্রতিটি নির্বাচনের আগে একটি যুদ্ধের প্রয়োজন হয়, লাশের দরকার হয় তার।
শান্তি হলো মোদীর এজন্য রাজনৈতিক আত্মহত্যা, এমন অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। নাৎসীরা এখনো নাৎসীই পশ্চিমাদের কাছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে তার পশ্চিমা মিত্ররা উদ্বিগ্ন।
যা-ই হোক, নাৎসীদের শক্ত হাতে দমনের কোন বিকল্প নেই। নাৎসী ভারতের নাকে কষে চড়ঘুসি চালিয়েছে পাকিস্তানী বিমান বাহিনী। ৫ টি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করে দুনিয়া জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভারত এটা স্বীকার না করলেও বিশ্বমিডিয়া সবিস্তারে এ খবর প্রচার ও প্রকাশ করেছে, যাদের মধ্যে রয়েছে সিএনএন ও রয়টার্স। ফরাসী গোয়েন্দা বিভাগও এটা নিশ্চিত করেছে।
‘দ্য ইকোনোমিস্ট’ বলেছে, ভারতের উচিত তার অধিকৃত কাশ্মীরের অংশে আত্ম পরাজয়কারী দমন পীড়নের অবসান ঘটানো।
কিন্তু ভারতের শাসক মোদী কি এসব কথায় কান দেবেন, যার উত্থান ২০০২ সালে গুজরাটে ও ২০২০ সালে দিল্লীতে মুসলিম গনহত্যার মধ্যে দিয়ে, এমন প্রশ্ন সচেতন ও বিবেকবান মানুষের।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button