বিত্তশালীরা লন্ডনকে অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে দেখতে চান

লন্ডনের বিত্তশালীদের তিন চতুর্থাংশই চান রাজধানী লন্ডন আগামী দশকে ইউরোপের শীর্ষ অর্থনৈতিক কেন্দ্র হয়ে থাকুক।
ওয়লথ্ ম্যানেজার ‘সালতাস’ এর এক সাম্প্রতিক জরীপে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সালতাস ওয়েলথ্ ইনডেক্সে আরো দেখা গেছে, আড়াই লাখ পাউন্ডের বেশী বিনিয়োগযোগ্য সম্পদের অধিকারী হাই-নেট-ওয়ারথ ব্যক্তিদের (এইচএম ডব্লিউ আই) যখন যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বিদ্যমান, তখন নিজেদের অর্থের ব্যাপার এলে তাদেরকে কম আত্মবিশ্বাসী হিসেবে পরিলক্ষিত হয়।
সালতাস-এর জরীপে আরো দেখা গেছে, বৃহত্তর লন্ডন ভিত্তিক হাই-নেট-ওয়াথ ইনডুভিডুয়েলস্ অর্থাৎ অতি বিত্তবান ব্যক্তিদের চেয়ে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস-এ বসবাসকারী অতি বিত্তবানদের তুলনায় আগামী ৬ মাসে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ব্যাপারে দ্বিগুণ বেশী আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু গবেষণায় এটাও পরিলক্ষিত হয়েছে যে, অতি বিত্তশালীদের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ তাদের অর্থের ব্যাপারে উদ্বেগ অনুভব করেন। এক্ষেত্রে তরুণ দের চেয়ে বয়স্কদের উৎকন্ঠা বেশী।
দেখা গেছে, যার যতো বেশী সম্পদ, তার উদ্বেগ ততো বেশী। আড়াই লক্ষ পাউন্ড থেকে দশ লক্ষ পাউন্ড অর্থ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশী (৫৪%) সংখ্যক ব্যক্তি বলেন, তারা তাদের অর্থের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন, যারা ১০ লক্ষ পাউন্ডের বেশী সম্পদের অধিকারীদের সাথে তুলনীয়।
সালতাস ওয়েলথ্ ইনডেক্স ১০০০ ব্যাক্তির ওপর জরীপ চালায়।সালতাস অনুসারে, উত্তরদাতারা কভিড-১৯ কে তাদের সম্পদের প্রতি সবচেয়ে বড়ো হুমকি বলে মনে করেন। এদের এক তৃতীয়াংশ এজন্য মহামারির দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাবকে দায়ী করেন, এরপরেই তারা সবচেয়ে বেশী দায়ী করেন মূল্যস্ফীতিকে ।
সালতাস-এর প্রতিষ্ঠাতা শরিকান জন ম্যাকিন্তশ বলেন, গবেষণা অনুযায়ী অধিকাংশ উত্তরদাতার দীর্ঘকালীন কিছু উদ্বেগ রয়েছে । এদের অধিকাংশ বলেন, অর্থ তাদেরকে দুশ্চিন্তার মধ্যে রেখেছে ।
তিনি আরো বলেন, এধরনের অস্বস্তি অনুভবের কারণ হিসেবে অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে মহামারি উত্তর প্রলম্বিত অনিশ্চয়তা, যার জন্য এই যাবৎ কালের মধ্যে সবচেয়ে বেশী জরুরী হচ্ছে, একটি বড়ো ধরণের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা। তা আর্থিক ও ব্যক্তিক কল্যাণের জন্য আবশ্যক।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button