মহামারির সময় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে ইংল্যান্ডে

করোনা মহামারির প্রথম বছরে ইংল্যান্ডে কমপক্ষে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। উচ্ছেদ নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত সরকারের নির্দেশনা সত্বেও এমনটি ঘটেছে। ইতোমধ্যে উচ্ছেদ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে। এ অবস্থায় শীঘ্রই উচ্ছেদের ঘটনাবলী বৃদ্ধির আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, উচ্ছেদ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকাবস্থায়ও গৃহস্থালীসমূহকে বলপূর্বক উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে।

‘শেল্টার’- এর প্রধান নির্বাহী পলি নিয়েট বলেন, উচ্ছেদ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা গৃহহীন হওয়ার সম্মুখীন ১০ হাজার ব্যক্তিকে রক্ষা করতে পারেনি। মহামারির সময়, গৃহহীনরা বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিবারে থাকতে সক্ষম হয়নি, তারা ব্যক্তিগত ভাড়াটে অবস্থান হারিয়েছেন এবং গৃহাভ্যন্তরীন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে সরকার কর্তৃক ইল্যান্ডের প্রায় ৭০ শতাংশ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ থেকে সংগৃহীত পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিশ্লেষণে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৬২ টি গৃহস্থালী কাউন্সিলসমূহ কর্তৃক মূল্যায়নে ‘রিলিফ ডিউটি’ গ্রহনে বাধ্য হয়েছে বলে দেখা গেছে, যাদেরকে ইতোমধ্যে গৃহহীন বলা যায়। গৃহহীনদের সংখ্যা আগের তুলনায় ২০২০-২১ সালে কিছুটা বেশী বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে।
সামগ্রিকভাবে, ইংল্যান্ডের কাউন্সিলসমূহে ২০২০-২১ সালে গৃহহীনতার সহায়তা লাভের জন্য ২ লাখ ৭৪ হাজার বার ধর্ণা দেয়া হযেছে। আইনগতভাবে গৃহহীন না হলেও ১ লাখ ৬ হাজার গৃহস্থালী গৃহহীনতার ঝুকিতে থাকার জন্য ‘প্রিভেনশন ডিউটি’ লাভ করেছেন।
২০২০-২১ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে সহায়তার জন্য আবেদনকারী গৃহস্থালীর সংখ্যা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে। কর্নওয়ালে সহায়তার জন্য ৪৪ শতাংশ আবেদন জমা দেয়া হয়েছে ঐ ৩ মাস সময়ে। আর বাথ এবং নর্থইষ্ট সমারসেটে ৬৪ শতাংশ আবেদন দাখিল করা হয়েছে ঐ শেষ প্রান্তিকেই। এক্ষেত্রে মানচেষ্টারের কাউন্সিলগুলোর অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। কাউন্সিলের জনৈক মুখপাত্র বলেন, মহামারি অনেক মানুষের বিস্তর দুর্ভোগের উৎস হয়ে আছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা মানুষকে গৃহহারা করেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button