ব্রিটেনে হুয়াওয়ের ৫-জি পণ্য নিষিদ্ধ, ‘তীব্র প্রতিবাদ’ চীনের

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের জন্য ট্রাম্পের কৃতিত্বের দাবি

২০২৭ সালের মধ্যে ব্রিটেনের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক থেকে হুয়াওয়ের সকল সরঞ্জাম সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটেনের ফাইভ-জি নেটওয়ার্কে হুয়াওয়েকে কাজ করার অনুমোদন দেওয়া নিয়ে চীনের সঙ্গে চলমান বৈরিতার মধ্যে এমন নির্দেশ দিলেন জনসন। তার এ নির্দেশে চীনের সঙ্গে বৈরিতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে খুশি হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বহুদিন ধরেই হুয়াওয়েকে ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের কাজ করার অনুমোদন না দিতে জনসনকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। গত জানুয়ারিতে হুয়াওয়েকে ব্রিটেনের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে সীমিত আকারে কাজ করতে অনুমোদন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন জনসন।
এদিকে হুয়াওয়ের ৫-জি পণ্য নিষিদ্ধ করার ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানিয়েছে চীন। বুধবার চীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনীতিক চাপে নেয়া এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্রিটেন বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। চীন (যাদের ১৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ব্রিটেনের থেকে পাঁচগুণ বেশি) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, এই সিদ্ধান্ত ব্রিটেনে বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্থ করবে। কারণ, চীনা কোম্পানিগুলো লন্ডনে তাদের জাতীয় ও শীর্ষ টেলিকমস প্রতিষ্ঠানকে অপমানিত হতে দেখছে। এ বিষয়ে সেন্টার ফর ইউরোপীয়ান রিফর্মে চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং বলেন, ‘এখন আমি এটিকে শুধুমাত্র হতাশাজনক বলব না, এটি হৃদয়বিদারকও।’
ব্রিটেন তাদের সংস্থাটিকে স্রেফ ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি হুয়াওয়ের সাথে যে আচরণ করছেন তা অন্যান্য চীনা ব্যবসায়ীরা খুব নিবিড়ভাবে অনুসরণ করছে এবং বিনিয়োগের জন্য অন্য দেশের ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করাও খুব কঠিন হয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক থেকে হুয়াওয়ের সকল সরঞ্জাম সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে ফেলার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তের জন্য কৃতিত্বের দাবি করেন। তিনি বলেন, যে দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ব্যবসা করতে চায়, তাদের উচিত হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করা।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button