ভয়ানক বেতনবৈষম্যে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে উঠছে বেতনবৈষম্য দূরীকরণ আন্দোলন। তারই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দেশটির প্রায় ১৫০টি শহরে প্রতিবাদকারীরা নেমে আসে। মিছিলে পুলিশ ব্যাপক গ্রেপ্তারাভিযান চালায়। এখনও পর্যন্ত ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিবাদকারীরা মূলত ফাস্ট-ফুড শ্রেণির খাবারের দোকানের কর্মচারী। যুক্তরাষ্ট্রে ফাস্ট ফুডের দোকানগুলো অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা করে থাকে। কিন্তু শ্রমিকদের দাবি, তার প্রতিদান থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়। ঘণ্টায় ১৫ ডলারের দাবিতে তাই তারা পথে নেমেছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া তথ্যমতে মিলাউকে, উইসকনসিন, সিকাগো, ডেট্রয়েট, লিটল রক, কানসাস, হাউস্টন ও ন্যাশভিলে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতের সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে আছে শহরগুলো।
শ্রমিকদের দ্বিতীয় দাবি একটি শ্রমিক ইউনিয়ন। জানা যায় ২০১২ সালে প্রথম রাজধানী নিউ ইয়র্কে এ আন্দোলনের সূচনা ঘটে। পরবর্তীতে প্রশাসন তা শক্তহাতে দমন করে। ২০০৯ সাল থেকে এ কাজে নিয়োজিতদের বেতনসীমা ধার্য করা ৭ ডলার ২৫ সেন্ট এবং এখনও তা বলবৎ আছে।
বিখ্যাত ফাস্ট ফুড ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ম্যাকডোনাল্ডের কর্মচারী ও আন্দোলনের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবক ল্যাটোয়া ওয়াকার বলেন, ১৫ ডলার করে পেলে আমি পরিবার নিয়ে কোন রকমে একটা বাড়ি ভাড়া নিতে পারবো এবং আমার সন্তানদের জন্যে একটু করে হলেও জমাতে পারবো। ল্যাটোয়া বর্তমানে গৃহহীন এবং ঘণ্টায় তার আয় ৮ ডলার।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক অর্থনীতি বিশ্লেষকের মন্তব্য অনুযায়ী সে দেশের জীবনযাত্রার ব্যয় অনুপাতে ৪ সদস্যের কোন পরিবারের জন্যে ঘণ্টায় ১১ ডলার থেকে দারিদ্রসীমা শুরু। সে অবস্থান থেকে ঘণ্টায় গড়ে সাড়ে ৭ ডলার বেতনভাতা অমানবিক।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button