ব্রেক্সিট যুক্তরাজ্যকে ইউরোপের সবচেয়ে বাজে মার্কেটে পরিনত করেছে

যুক্তরাজ্যের জনৈক ব্যবসায়ী নেতা প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে বলেছেন, ব্রেক্সিট ভ্যাট নীতিমালায় যে পরিবর্তন এনেছে, তা যুক্তরাজ্যের একটি দর্শনীয় নিজস্ব লক্ষ্য। এই নতুন নীতিমালা যুক্তরাজ্যকে ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে কম আকর্ষনীয় কেনাকাটার মার্কেটে পরিনত করবে। সম্প্রতি লন্ডনে দু’শো উচ্চপদস্থ প্রধান নির্বাহীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর বক্তেব্যর প্রতিক্রিয়ায় ফ্যাশন হাউস ‘বারবেরি’র প্রধান নির্বাহী গেরি মার্ফি কড়া ভাষায় উপরোক্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
মিঃ মার্ফি আরো বলেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন মিঃ সুনাক তার কিছু পূর্বসূরীর প্রশাসনের চেয়ে তিনি স্পষ্টত:ই অধিক ব্যবসাবান্ধব। কিন্তু তিনি বলেন যে, ইইউ ত্যাগ ব্যবসায়ের ওপর তাৎপর্যপূর্ন সাংঘর্ষিক প্রভাব ফেলেছে। তিনি বিশেষভাবে ভ্যাটের দিকে দৃষ্টি দেয়ার এবং এর পরিবর্তনের আহ্বান জানান। মিঃ সুনাক জোর দিয়ে বলেন যে, পরিবর্তনের জন্য ভালো কারন রয়েছে, তবে তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনে পরিবর্তনের আশ্বাস দেন। উল্লেখ্য, ব্রেক্সিটের পরিবর্তনের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর অর্থ্যাৎ ২০২১ সালের শুরুতে যুক্তরাজ্যের পর্যটকেরা বিদেশী সামগ্রীর ওপর আরোপিত ভ্যাট বাতিলের দাবি জানাতে ব্যর্থ হচ্ছেন, যার ফলে ব্রিটেনে এসব সামগ্রী তাদের জন্য অধিক ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
প্রকৃতপক্ষে সাবেক চ্যান্সেলর কাওয়াসি কাওয়ারটেং এক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা পুনরায় চালু করেছিলেন গত বছরে তার মিনি বাজেটে। পরে তার উত্তরসূরী জেরেমি হান্ট এসে তার অধিকাংশ নীতিসমূহের সাথে এটাও বাতিল করেন। তিনি তা নিশ্চিত করেছেন যে, এটা পুনরায় চালুর কোন সম্ভাবনা নেই।
সরকার বলেছে যে, ভ্যাট চালু রাখা হলে যুক্তরাজ্যের বার্ষিক ২ বিলিয়ন পাউন্ড সঞ্চয় হবে। তবে পর্যটন কর্তা ব্যক্তিরা বলেন, এর ফলে অবকাশ গন্তব্য হিসেবে প্রতিযোগিতা ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভ্যাট নীতিমালা ব্রিটেনে আগমনকারী ইউরোপীয় পর্যটকদের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button