যুক্তরাষ্ট্রে রেড এলার্ট : ভারতের মসলা স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর

FDAযুক্তরাষ্ট্রে আমদানীকৃত মসলার ১২ শতাংশের মধ্যেই পোকা-মাকড় কিংবা তার দেহাবশেষ, পঁচে যাওয়া চুলসহ স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর আরো কিছু দ্রব্যের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ফেডারেল ফুড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এফডিএ উদ্বেগজনক এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
৩০ অক্টোবর এফডিএ এ তথ্য প্রকাশের সময় উল্লেখ করেছে, অন্তত: সাত শতাংশ মসলার মধ্যে স্যালমনেলা ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা শরীরের জন্যে খুবই তিকর। মেক্সিকো ও ভারত থেকে আমদানি করা মসলার মধ্যেই অধিক হারে স্বাস্থ্যহানিকর পদার্থ পাওয়া গেছে। মসলা, তেল এবং বিভিন্ন ধরনের খাদ্যে রং মেশানো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে। এ রং আসছে ভারত থেকে এবং তা স্বাস্থ্যের উপযোগী নয়।
এফডিএ সূত্রে বলা হয়, যেসব খাদ্যে স্বাস্থ্যের জন্যে তিকর দ্রব্য রয়েছে সেগুলোর আমদানি নিষিদ্ধ করতে পারবে এফডিএ। এ আইনের আওতায় ২০১০ সাল পর্যন্ত তিন বছরে মসলা ভর্তি ৭৪৯টি জাহাজকে যুক্তরাষ্ট্রে নোঙর করতে দেয়া হয়নি। এগুলো এসেছিল ভারত, চীন, ভিয়েতনাম থেকে। এছাড়া আরও ২৩৮টি জাহাজকে মসলা খালাসের অনুমতি দেয়া হয়নি।
এদিকে এফডিএ বাংলাদেশের প্রাণ গুড়া হলুদের ওপর তদারকির দ্বিতীয় পর্যায়ে টেক্সাস অঞ্চল থেকেও তা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে। ১৭ অক্টোবর সর্বসাধারণের উদ্দেশে জারিকৃত নোটিশে বলা হয়, প্রাণ গুড়া হলুদ যারা কিনেছেন তা যেন অবিলম্বে ফেরত দিয়ে পুরো অর্থ নিয়ে নেন। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রার সীসা থাকার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে প্রাণ ব্র্যান্ডের হলুদের গুঁড়া প্রত্যাহার করে নিতে বলেছে এফডিএ। এর আগে ৮ অক্টোবর এফডিএ অপর এক নোটিশে নিউইয়র্কসহ আশপাশের রাজ্য থেকে প্রাণের গুঁড়া হলুদের প্যাকেট প্রত্যাহারের আহবান জানায়। একইসাথে ভোক্তাদের প্রাণ গুড়া হলুদ ব্যবহার না করার পাশাপাশি প্রয়োজনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতেও পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এফডিএর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিউইয়র্কে এক ব্যক্তির অসুস্থতার কারণ খুঁজতে গিয়ে মসলায় তিকর মাত্রায় সীসা থাকার বিষয়টি তাদের নজরে আসে। রাসায়নিক পরীক্ষায় প্রাণের গুঁড়া হলুদে ৫৩ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) পর্যন্ত সীসা পাওয়া গেছে, যা নবজাতক, শিশু-কিশোর ও গর্ভবতী নারীর জন্য খুবই তিকর। প্রাণের গুঁড়া হলুদ নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া, ম্যাসেচুসেটস, ভার্জিনিয়া, টেক্সাস, টেনেসী, লুইঝিয়ানা, ফোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, মিশিগান ও ইলিনয় অঙ্গরাজ্যসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্রি হচ্ছে। এশীয় ও দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীই এই মসলার প্রধান ভোক্তা।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button