ইসরাইলের নিন্দায় বৃটেনের প্রধান পাদ্রী

ব্রিটেনের ফিলিস্তিন নীতি থেকে সরে এসে ইসরাইল বিরোধী বক্তব্য রেখেছেন দেশটির ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি।এক বিবৃতিতে তিনি গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি ও বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরাইলি বোমাবর্ষণ বন্ধের জরুরি আহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ আর্চ বিশপ জেরুজালেমের অন্যান্য খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দসহ ফোর্সসমূহের সাথে যোগ দিয়েছেন গাজায় খাদ্য পানি ও অতি প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সরবরাহের দাবি জানাতে, যাতে গাজার লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের সহায়তাকারী দান সংস্থাগুলোর কাছে নিরাপদে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো যায়।
লক্ষণীয় যে ইংল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় গির্জার এই নেতার বিবৃতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নীতির সাথে সাংঘর্ষিক। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গত সপ্তাহে ব্রিটেনকে জাতিসংঘের যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।
যা-ই হোক, চার্চ অব ইংল্যান্ডের এই অবস্থান লাখো বিক্ষোভকারীর দাবির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যারা গত শনিবার লন্ডনে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করে অবিলম্বে অবরুদ্ধ গাজা ইসরাইলে বোমা বন্ধের আহ্বান জানায়।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি যোদ্ধা গাজার সীমান্তবর্তী ইসরাইলি কমিউনিটিগুলোতে হামলা চালিয়ে প্রায় ১৪০০ ইসরাইলিকে হত্যা ও ২ শ‘য়ের বেশী ইসরাইলিকে বন্দি করে নিয়ে যায়। তখন থেকে ইসরাইল সাগর উপকূলীয় ছিট মহল গাজায় নির্বিচার বোমা বর্ষণ করে এ পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ প্রায় সাড়ে চার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে।
আর্চ বিশপ জেরুজালেমের অনেকগুলো গির্জার ধর্মীয় নেতাদের সাথে যৌথভাবে অত্যন্ত জোরালো ভাষায় উপরোক্ত বিবৃতিটি প্রদান করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা এটা অস্বীকার করতে পারি না যে সর্বশেষ ঘটনায় শেষ আশ্রয়স্থলে মিসাইল হামলায় নিরীহ শিশুরা আহত কিংবা হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। এতে আরো বলা হয়, গত দুই সপ্তাহে গাজার আবাসিক এলাকা গুলোতে অব্যাহত বোমাবর্ষণে স্কুল ও হাসপাতালসমূহ ধ্বংস হয়েছে, যেগুলোতে শরনার্থীরা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো।
আমরা যুদ্ধরত উভয়পক্ষকে সহিংসতা বিস্তার বন্ধ ও বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্যবস্তুকরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button