যুক্তরাজ্যে অগ্রিম অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ রোগীরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত
আগাম অর্থ দাবি করায় যুক্তরাজ্যের শত শত অভিবাসী এনএইচএস এর চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গত ২ বছর ধরে চলছে এ অবস্থা। এ অবস্থায় অনেকেই সরকারের বিরুদ্ধে বৈরী পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগ করছেন।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে ইংল্যান্ডের ৬৮ টি হসপিটাল ট্রাস্টে ৩ হাজার ৫৪৫ জন রোগীকে বলা হয়েছে যে, তাদেরকে অবশ্যই আগাম চার্জ বা অর্থ পরিশোধ করতে হবে, যার মোট পরিমান ৭.১ মিলিয়ন পাউন্ড। এদের মধ্যে ৯০৫ জন রোগী ৫৮ টি ট্রাস্ট হসপিটাল থেকে চিকিৎসা পেতে ব্যর্থ হন। ইংল্যান্ডের এনএইচএস ট্রাস্ট হসপিটালগুলোকে ইলেক্টিভ কেয়ার প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট অভিবাসীর কাছে আগাম অর্থ চাইতে হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে এটা শুরু হয়েছে। এদের মধ্যে বিদেশী দর্শনার্থী পর্যটক এবং অভিবাসী অন্তর্ভূক্ত। তাদেরকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদানের নিয়ম নেই। যেমন ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থী ও ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ ব্যক্তি। অবশ্য জরুরী ও অবিলম্বে আবশ্যক এমন চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়। অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসা প্রদান করতে অনেক ক্ষেত্রে অন্যায়ভাবে অস্বীকার করা হয়েছে।
ক্যাম্পেইন গ্রুপ মেডাক্ট-এর জনৈক সদস্য ও কনসালট্যান্ট রেসপিরেটরি ফিজিশিয়ান ডাঃ লোরা জেইন স্মিথ বলেন, আমার একজন রোগী ছিলো, যার ফুসফুসের ক্যান্সারের কারনে জরুরী চিকিৎসার জন্য অগ্রিম অর্থ দাবি করা হয়। এরপর এই রোগী আর আসেনি। এমন অনেক লোক আছেন, যারা এদেশে বছরের পর বছর বসবাস করছেন কিন্তু তাদের সঠিক অফিশিয়াল মাইগ্রেশন স্ট্যাটাস নেই। একজনের ক্যান্সার সনাক্তকরন বিপর্যয়কর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য। এ অবস্থায় তাকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে অস্বীকৃতি অমানবিক। অনেক ক্ষেত্রে, এর পরিনতি ভয়াবহ হয়ে থাকে। ২০১৮ সালে এলফ্রেদা স্পেন্সার নামক জনৈক রোগীর কথা জানা যায়। ঐ রোগীকে এক বছরের কেমোথেরাপী দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। অথচ এসময়ে তার ক্যান্সার অনেক জটিল আকার ধারন করেছে। একইভাবে অগ্রিম অর্থ দাবি করা হয় রক্তজমাট উপসর্গের রোগী সিম্বা মুজাকাচির ক্ষেত্রে।