কর কর্তন যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেবে

যুক্তরাজ্যের ‘ইনস্টিটিউট ফর ফিসক্যাল স্টাডিজ’ এর পরিচালক পল জনসন বলেছেন, আগামী বছরে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে তাৎপর্যপূর্ন কর কর্তনের উদ্যোগ ব্রিটেনের ভীতিকর সরকারী অর্থনীতিকে আরো দুর্যোগ ও ঝুঁকির মধ্যে নিপতিত করবে। এতে আরো উচ্চ সুদের হারের দুঃস্বপ্ন দেখা দিতে পারে। তিনি দেশের প্রধান দুই দলকে গভীর কর ও ব্যয় পন্থাগুলোর ব্যাপারে সততা অবলম্বনের আবেদন জানান। যে দলই নির্বাচনে জয়ী হবে এ বিষয়ের মুখোমুখি হতে হবে তাকে। ঋষি সুনাক ও তার চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট তাদের নিজেদের এমপিদের পক্ষ থেকে তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছেন মার্চে ট্যাক্স বা কর কর্তনের জন্য। আগামী নির্বাচনের দৌড়ের মধ্যে এমন অবস্থার সম্মুখীন তারা। যখন প্রধানমন্ত্রী এই মর্মে সুস্পষ্ট যে, এখনকার মতো তার একমাত্র অগ্রাধিকার হচ্ছে মূল্যস্ফীতি হ্রাস, তখন কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে ইংগিত দিয়েছেন যে, তিনি একটি কর কর্তনে আগ্রহী, যেমন ২ শতাংশ পর্যন্ত আয়কর হ্রাস।
যা-ই হোক, জনসন বলেন, এধরনের কর কর্তন একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হবে, কোন অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, যা ঝুঁকি নিয়ে আসবে। তিনি বলেন, ইনকাম ট্যাক্সের ২ পেন্স হ্রাস একটি বড়ো পরিবর্তন, যা ১৫ বিলিয়ন পাউন্ডের মতো ব্যাপার। এ অবস্থায় চ্যান্সেলরের জন্য বড়ো প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে, কীভাবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এর জবাব দেবে।
কেবিনেট সূত্র বলেছে, সরকার আর্থিকভাবে নিষ্ক্রিয় লোকজনকে কর্মশক্তিকে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া। কারন এটা করার মাধ্যমে অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবিলিটি কর্তৃক তৈরী অর্থনৈতিক মডেলসমূহে একটি বড়ো ধরনের প্রতিক্রিয়া বা প্রভাব পড়বে, যা পাবলিক ফাইন্যান্সের পর্যায়ে অফিশিয়াল অরবিটার হিসাবে কাজ করবে। সিনিয়র মন্ত্রীদের মাঝে এই প্রত্যাশা বিদ্যমান যে, সক্রিয় শ্রমিকদের বৃদ্ধি সুনাক ও হান্টকে আগামী বসন্তে একটি বড়ো ট্যাক্স বা কর কর্তনের যথেষ্ট সুযোগ করে দেবে। উভয় রাজনৈতিক দলের প্রতি আবেদন জানিয়ে জনসন বলেন, কর কর্তনকে আমি ভীতিকর বলে বিবেচনা করি। সরকারী সেবার উন্নতির জন্য বিশাল জনগোষ্ঠীর অধিকতর ট্যাক্স প্রদান জরুরী।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button