যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি চরম ঝুঁকিতে

যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবিলিটি’ (ওবিআর) এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে যে, বয়োবৃদ্ধদের সমস্যা মোকাবেলায় যুক্তরাজ্য সরকারের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন। ধারাবাহিক সংকটের ফলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
ওবিআর আরো বলেছে যে, অ-টেকসই ঋনের পর্যায়ের অর্থ হচ্ছে, সরকার আরো কর বৃদ্ধি মোকাবেলা করতে কিংবা তাৎপর্যপূর্ন ব্যয় কর্তনের দিকে যাচ্ছে। পর্যবেক্ষক সংস্থাটি বলেছে, ব্রিটেনের রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিকে কভিড মহামারি, ইউক্রেইন যুদ্ধ এবং জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট এই তিনটি সংকট বিপর্যস্ত করেছে। এর ফলে সরকারী ঋন স্ফীত হয়েছে। সরকারী ঋন এতোই বেড়েছে যে, তা গত মে মাসে দেশটির বার্ষিক জিডিপি’র ১০০ শতাংশেরও বেশী বৃদ্ধি পায়, যা ১৯৬১ সালের পর সর্বোচ্চ।
ওবিআর আরো বলেছে, ২০৭০ এর দশকে সরকারী ঋন অর্থনৈতিক উৎপাদনের চেয়ে ৩০০ শতাংশেরও বেশী বাড়তে পারে। ঋষি সুনাক সরকারের প্রদত্ত ৫টি প্রতিশ্রুতির একটি হচ্ছে ঋন কমিয়ে আনা। সংস্থাটি বলেছে, এই ঋন ফলশ্রুতিতে ২০২৭-২৮ সাল নাগাদ কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওবিআর বলেছে, উচ্চ সুদ হার ও মূল্যস্ফীতি ঋন হ্রাসের প্রচেষ্টার ওপর চাপ সৃষ্ট করতে পারে। কিন্তু সে তার মার্চের পূর্বতন পূর্বাভাস পরিবর্তন করেনি, যাতে দেখানো হয়েছে, সরকার এই গআর্থিক প্রতিশ্রুতি মোকাবেলায় সক্ষম হবে।
যা-ই হোক, ওবিআর বয়োবৃদ্ধ জনসংখ্যার চাপের বিষয়ে সতর্ক করেছে, সতর্ক করেছে জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভূ-রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর বিষয়ে। এগুলো দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। ওবিআর -এর চেয়ারম্যান রিচার্ড হিউজেস বলেন, এটা স্পষ্ট যে, বর্তমান পলিসিগুলো যেভাবে আছে তা টেকসই নয়, যা আরো কর বৃদ্ধি ঘটাতে পারে কিংবা ব্যয় কর্তনের কারন হতে পারে এই দশকের শেষ দিকে।
এর জবাবে চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট বলেন, এসবই প্রধানমন্ত্রীর ঋন কমানোর ক্ষেত্রে এবং মূল্যস্ফীতিজনিত চাপ ও দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি এড়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদানের ওপর আলোকপাত করে। এর অর্থ হচ্ছে, সরকারী আর্থিক ক্ষেত্রে জটিল অথচ দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button