জুনিয়র চিকিৎসকদের ৩ দিনের ধর্মঘট চলছে

ইংল্যান্ডে প্রায় ১০ হাজার জুনিয়র চিকিৎসক গত সোমবার থেকে ৩ দিনের ধর্মঘট শুরু করেছেন। মজুরী বৃদ্ধি ও কাজের শর্তাবলী সংক্রান্ত দাবিদাওয়ার প্রেক্ষাপটে তারা এই ধর্মঘট কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করছেন। দেশব্যাপী বিভিন্ন হাসপাতালের বাইরে পিকেট লাইন তৈরী করে অথ্যাংৎ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তারা ধর্মঘট পালন করছেন।
ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) গত ক’মাস যাবৎ দেশে মাসিক মজুরী বৃদ্ধির জন্য প্রচারনা চালাচ্ছেন এই বলে যে, তারা জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারনে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে ইউনিয়নসমূহ এবং সরকারের মধ্যে আলোচনা থেকে সমঝোতায় পৌঁছানো যায়নি। চলতি সপ্তাহব্যাপী এধরনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে এবং এভাবে দীর্ঘদিনের মজুরী সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসায় অগ্রগতি হবে বলে প্রত্যাশা করা যাচ্ছে।
ধর্মঘটে যাওয়ার আগে বিএমএ এই বলে একটি বিজ্ঞাপনী প্রচারনা চালায় যে, জুনিয়র ডাক্তাররা ক্যাফে চেইন প্রেট এ ম্যানেজার- এ কপি পরিবেশন করে এর অধিক অর্থ উপার্জন করতে পারতো। বিএমএ বলেছে যে, প্রেট এ ম্যানেজার ঘোষনা করেছেন, তারা ঘন্টায় ১৪.১০ পাউন্ড পর্যন্ত মজুরী দেবে। একজন জুনিয়র চিকিৎসক মাত্র ১৪.০৯ পাউন্ড পান ঘন্টায়। সরকারকে ধন্যবাদ এজন্য যে, একজন লোক কফি পরিবেশন করে একজন চিকিৎসকের চেয়ে বেশী আয় করতে পারে। চলতি সপ্তাহে জুনিয়র চিকিৎসকরা ধর্মঘটে যাচ্ছেন যাতে তারা তদের যথাযথ মজুরী পান।
বিএমএ জুনিয়র চিকিৎসকদের কমিটির সহ-সভাপতিদ্বয় রবার্ট লরেনসন ও বিবেক ত্রিবেদী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সকল জুনিয়র চিকিৎসককে ঘন্টায় ১৪.০৯ পাউন্ড দেয়া কি যৌক্তিক? তারা তো সেই লোক যারা জীবনরক্ষাকারী সেবা প্রদান করছেন, মেডিকেল স্কুলে ব্যাপক প্রশিক্ষন গ্রহন করেছেন এবং এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ১ লাখ পাউন্ড ঋন গ্রহন করেছেন। আমরা যে কোন শ্রমিককে মূল্যস্ফীতির সাথে সংগতিপূর্ন মজুরী বৃদ্ধির বিষয়ে সম্পূর্ন সমর্থন জ্ঞাপন করি এবং বাস্তবে এটা ভাবা উচিত যে সরকার জুনিয়র চিকিৎসকদের মজুরী এতোই বেশী কর্তন করেছে, কফি পরিবেশনকারীরা এর চেয়ে বেশী আয় করতে পারেন। ২০০৮-০৯ সাল থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের মজুরী প্রকৃত অর্থেই ২৬.১ শতাংশ কর্তনের শিকার। তারা এখন মজুরীর সেই অর্থ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আন্দোলন করছেন, এমন দাবি বিএমএ’র।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button