চ্যান্সেলর হান্ট দরিদ্রদের সুরক্ষা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

ব্রিটিশ চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট তার শরৎকালীন বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট মোকাবেলা ও ব্রিটিশ অর্থনীতি পুনর্গঠনে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তিনি বলেন, স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি এবং জনগনের সেবাসমূহ হচ্ছে তার অগ্রাধিকার। কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহন সত্বেও সুষ্ঠু সমাধান দেয়া হচ্ছে। চ্যান্সেলর আরো বলেন, অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবিলিটি পূর্বাভাসে দেখা গেছে চলতি বছর অর্থননৈতিকব প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থনীতিতে ইতোমধ্যে মন্দা চলছে। আগামী বছর জিডিপি ১.৪ শতাংশ সংকুচিত হবে এবং ২০২৫ সালে তা হবে ২.৭ শতাংশ।
চ্যান্সেলর একটি ব্যাপক ট্যাক্স থ্রেশল্ড বন্ধের ঘোষনা দিয়েছেন। এর মধ্যে আরো ২ বছরের জন্য আয়কর ও উত্তরাধিকার কর অন্তর্ভূক্ত। ডিভডেন্ট এলাউন্স কর্তন হবে। হান্ট বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ি ২০২৫ সাল থেকে শুল্ক মওকুফ সুবিধা পাবে না। তিনি বলেন পরিবর্তনসমূহ যুক্তরাজ্যকে যে কোন জি-৭ দেশের মধ্যে সবচেয়ে উদার করমুক্ত ভাতাসমূহের দেশে পরিনত করবে। আগামী ৫ বছরে কর বৃদ্ধি পাবে মাত্র ১৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের ওপর একটি নতুন সাময়িক ৪৫ শতাংশ লেভি অন্তর্ভূক্ত। নিয়োগ ভাতা সর্বোচ্চ ৫ হাজার পাউন্ডে সীমাবদ্ধ থাকবে। হান্ট বলেন, সরকারী ব্যয় প্রকৃত অর্থেই আগামী ৫ বছর যাবৎ প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে। তবে তা ধীর হারে হবে। এভাবে হান্ট নিশ্চিত করেছেন যে, লাখ লাখ লোককে অধিক কর দিতে হবে এবং জ¦ালানী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর উইন্ডফল কর সম্প্রসারিত হবে।
চ্যান্সেলর তার বিবৃতিতে ১০ বিলিয়ন পাউন্ড কর বৃদ্ধি এবং ব্যয় কর্তন ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, সরকার জ্বালানী বিল কর্তনে সহায়তা দেবে, যা এপ্রিল থেকে বার্ষিক আড়াই হাজার পাউন্ড থেকে ৩ হাজার পাউন্ডে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অপরদিকে বিবৃতির সমালোচনা করে লেবার পার্টি বলেছে, এটা হচ্ছে জনগণের পকেট কাটার শামিল। তারা অর্থনীতি ধ্বংস ও শ্রমিকদের অধিক অর্থ পরিশোধে বাধ্য করছে বলে রক্ষণশীলদের দায়ী করেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button