জ্বালানী বিলে সহায়তা প্যাকেজ যথেষ্ট নয়

বরিস জনসন স্বীকার করেছেন যে, জ্বালানী বিলে সহায়তা প্যাকেজ যথেষ্ট নয়। এদিকে এই সংকট মোকাবেলায় ঋষি সুনাক ও লিজ ট্রাসের মধ্যেকার মতদ্বৈধতা প্রকট আকার ধারন করেছে। আগামী এপ্রিলে জ্বালানী বিল বার্ষিক ৫ হাজার পাউন্ডে পৌঁছতে পারে, এমন পূর্বাভাসের মধ্যে বরিস জনসন এটা স্পষ্ট করেছেন যে, তার উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। অরক্ষিত গৃহস্থালীসমূহের জন্য ৪০০ পাউন্ডের অফ বিল ৬৫০ পাউন্ডে বৃদ্ধির বর্তমান প্যাকেজ যথেষ্ট কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে জনসন বলেন, ‘না, কারন আমি যা বলছি তা হচ্ছে আমরা কী করছি আগামী অক্টোবরে, আগামী জানুয়ারীতে অতিরিক্ত সহায়তার ক্ষেত্রে। যিনিই প্রধানমন্ত্রী হোন না কোনো, জনগনকে অতিরিক্ত নগদ অর্থ প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
জনসন এই সপ্তাহের প্রথম দিকে বলেন, তিনি নিশ্চিত তার উত্তরসূরী জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট মোকাবেলায় অধিকতর সহায়তা প্রদান করবেন। ইতোপূর্বে সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক লিজ ট্রাসের তেল ও গ্যাসের মুনাফার ওপর উইন্ডফল ট্যাক্স বজায় রাখা নিয়ে মন্তব্যে অস্বীকৃতির বিষয়ে আলোকপাত করেন, যার মাধ্যমে বৃহৎ তেল ও গ্যাস কোম্পানীগুলোর উচ্চ মুনাফা থেকে ৫ বিলিয়ন পাউন্ড আদায়ের সুযোগ রয়েছে। সুনাক আরো বলেন যে, তার প্রতিদ্বন্দ্বীর ট্যাক্স কর্তনের পরিকল্পনায় পেনশনভোগী কিংবা কম স্বচ্ছল মানুষের কার্যত: কোন ফায়দা হবে না। সুনাকের জনৈক প্রচারনা মূখপাত্র বলেন, ট্রাস উইন্ডফল ট্যাক্স সমর্থন না করে তার পরিকল্পনায় ৫ বিলিয়ন পাউন্ডের সম্ভাবনা নস্যাত করে দিচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবারের তর্ক বিতর্কের পর লিজ ট্রাস তার বিশ্বাসের ওপর জোর দিয়ে বলেন যে, মূল্যবৃদ্ধির মোকাবেলায় কর কর্তন তার কাছে গুরুত্বপূর্ন বিষয়। তিনি অন্যান্য সহায়তা দানেরও পক্ষপাতী। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি বলেন যে, তিনি চ্যান্সেলরের বাজেট অনুমোদন করতে পারেন না, তিনি অন্তত: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে। যদি কর বৃদ্ধি সকল সমস্যার সমাধান হয়, তবে অর্থনীতি শ্বাসরুদ্ধ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button