২ বছরের মধ্যে পাউন্ডের সর্বোচ্চ দরপতন

মূল্যবৃদ্ধি ও ভোক্তাদের আস্থা হ্রাসের প্রেক্ষাপটে ব্রিটেনের অর্থনীতি নিয়ে শংকা ঘনীভূত হওয়ায় পাউন্ডের দাম হ্রাস পেয়েছে, যা গত ২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত মঙ্গলবার ২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো স্টার্লিংয়ের দাম ১ দশমিক ১৯ ডলারে নেমে আসে। এছাড়া বরিস জনসনের সরকার অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকসহ সিনিয়র মন্ত্রীদের পদত্যাগের পর অধিকতর গোলযোগের মধ্যে নিপতিত হয়েছে।
পদত্যাগের আগে চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক বলেন, তার পদত্যাগের আংশিক কারণ হচ্ছে, সরকারের স্বীকার করা উচিত যে একটি অধিকতর কল্যানকর ভবিষ্যত খুব সহজ জিনিস নয়। অর্থ্যাৎ বরিস জনসনের সরকার দেশের প্রকৃত সমস্যা তুলে ধরার ক্ষেত্রে আন্তরিক নন এবং এটাই তার পদত্যাগের একটি বড়ো কারন।
এজে বেল- এর বিনিয়োগ পরিচালক রাস মৌল্ড বলেন, পাউন্ড ইতোমধ্যে হ্রাসের মধ্যে নিপতিত হয়েছে। ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের পদত্যাগের ফলে মন্ত্রী পরিষদে সৃষ্ট গোলযোগ পাউন্ডের দরপতনে সহায়ক হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক মাসসমূহে পাউন্ডের ওপর মন্দার শংকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই মুদ্রার মূল্যমান এখন এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন, যখন ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টিকারী মূল্যস্ফীতি অব্যাহত। রাজনৈতিক গোলমাল মন্দার শংকার মধ্যে বাড়তি অনিশ্চয়তা যোগ করেছে, ফলে পাউন্ড যে ডুবতে বসেছে, এ ধারনা অমুলক নয়।
লক্ষনীয় যে, গত মে মাসে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছে এবং বছরের শেষ দিকে এটা বৃদ্ধি পেয়ে ১১ শতাংশে পৌঁছার আশংকা রয়েছে। এর মানে হচ্ছে শ্রমিকের মজুরী গ্যাস, বিদ্যুৎ ও খাদ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যের সাথে তাল মেলাতে পারবে না, এতে জীবনযাত্রার মান আরো নীচে নেমে যাবে।
যুক্তরাজ্য জ্বালানী ও খাদ্যের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভর হওয়ায় দুর্বল মুদ্রা পাউন্ড অব্যাহত ভাবে পন্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধি ঘটাচ্ছে।
এক জরীপে দেখা গেছে, ভোক্তাদের আস্থা রেকর্ড নীচে নেমে গেছে। দেশে গত ১৯৯৬ সালের পর থেকে গাড়ি ক্রয়বিক্রয় এখন সর্বনিম্ন। একইভাবে নির্মান শিল্পেও নিম্নগতি লক্ষনীয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button