অস্ত্র রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

ব্রিটেন চায় তুর্কি ড্রোন

তুরস্কের প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানির ওপর আরোপিত সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। ২০১৯ সালে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় তুরস্কের হামলার পর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। যুক্তরাজ্য সরকার গত ডিসেম্বরেই তুরস্কের অস্ত্র রফতানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা বলেছিল। তবে তখন বলেছিল যে তুরস্কের বিদ্যমান ও নতুন রফতানি ও বাণিজ্য লাইসেন্সের ক্ষেত্রে কৌশলগত রফতানি লাইসেন্স প্রদান শর্ত আলাদা আলাদাভাবে মূল্যায়ন করা হবে।
তুরস্কের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ডিসেম্বরে ওই ঘোষণা সত্ত্বেও কিছু প্রতিরক্ষা পণ্যের রফতানি ব্রিটিশ সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। ফলে বাস্তবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ছিল।
তিনি বলেন, তবে শনিবারের ঘোষণার ফলে তুরস্কের সকল অস্ত্র রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো। ন্যাটো অংশীদারিত্বের কারণে তুরস্ক ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে শিল্প সম্পর্কও রয়েছে। তুরস্কের প্রথম দেশীয় জঙ্গিবিমান টিএফ-এক্সের ইঞ্জিন সরকারের জন্য যুক্তরাজ্যের ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক রলস-রয়েস ও তুরস্কের কেলের মধ্যে একটি চুক্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটেনভিত্তিক বিএই সিস্টেমস তুর্কি মহাকাশ শিল্পের সাথেও সহযোগিতা করতে চাচ্ছে। এটি করা গেলে তুরস্ক তার বিমান বহরের পুরনো ও কম আধুনিক বিমানগুলো পুনঃস্থাপনের সুযোগ পাবে।
এদিকে জানা গেছে, তুরস্কের সশস্ত্র ড্রোনের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। বিশেষ করে বায়কারের বায়রাকতার টিবি২র প্রতি আগ্রহ বেড়েছে যুক্তরাজ্যে। এই ড্রোন সিরিয়া, লিবিয়া, আজারবাইজান ও বর্তমানে ইউক্রেনে রাশিয়ার অস্ত্র ভাণ্ডারের বিরুদ্ধে সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তুরস্কের শিল্পমন্ত্রী মোস্তফা বরন্ক গত বছর সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে সশস্ত্র ড্রোন সরবরাহ করার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সরকারকে এক গুচ্ছ প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে তুরস্ক। কয়েকটি সূত্র মিডল ইস্ট আইকে বলেছে, লন্ডন কেনার চেয়ে সশস্ত্র ড্রোন ভাড়া নিতে বেশি আগ্রহী।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button