এনএইচএস’র অপেক্ষমাণ তালিকার জট দূরীকরণে বহু বছর লাগবে

ব্রিটেনে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার অপেক্ষমাণ তালিকায় বর্তমানে ৬০ লাখ লোক রয়েছেন, যা দেশের জনসংখ্যার প্রতি ৯ জনে ১ জন। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ বলেছেন, কোভিড মহামারির চাপ কমে আসায় চিকিৎসা প্রার্থী মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভবত এটা ঘটছে। তিনি বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসায় অপেক্ষার সময় হ্রাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ধরনের পরিকল্পনা ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ২৮ দিনে ক্যান্সার ডায়োগনোসিস বা নির্ণয়ের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত। যা গত বছর চালু করা হয় তবে মহামারীর দরুন এটা বিলম্বিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ৬২ দিনের মধ্যে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা শুরুর অনুপাত ২০২৩ সালের মার্চ নাগাদ মহামারি পূর্ব পর্যায়ে ফিরে যাবে, যদিও এক্ষেত্রে শতকরা ৮৫ ভাগ ঘাটতি থেকে যাবে। এনএইচএস-এর চিকিৎসার সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপেক্ষার সময় ৩০ শতাংশ হ্রাস করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আগামী তিন বছর এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৮ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করা হবে, যা জাতীয় বীমা অর্থ বৃদ্ধির মাধ্যমে সংগৃহীত হবে।
জনাব জাবেদ বলেন, স্টাফের সময় মুক্ত করার জন্য সকল রোগের জন্য স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে কেস- বাই-কেস ভিত্তিতে ফলো-আপ অ্যাপয়নমেন্ট করা হবে।
এই পরিকল্পনা যে এনএইচএসকে শুধু কোভিডপূর্ব অবস্থায় পুনঃস্থাপিত করবে এমন নয় বরং এটা ভবিষ্যতের জন্য উপযোগী করে তুলবে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবাকে।
তিনি আরো বলেন, ভাইরাসের মোকাবেলায় আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে এসেছি, তেমনি এই ভাইরাস যে বিপত্তি নিয়ে এসেছে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের একত্রিত হয়ে একটি মিশন শুরু করতে হবে।
মহামারীর সময় চিকিৎসার জন্য রেফার্ড রোগীর সংখ্যা ১ কোটি বাদ পড়েছিলো বলে তিনি জানান।
আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এক বছরের বেশি অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা সম্পূর্ণ দূর করা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
বর্তমানে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা তিন লাখেরও বেশি, যা মহামারির পূর্বে ছিল মাত্র ১৬০০।
অবশ্য ১৮ সপ্তাহের মধ্যে ৯২ শতাংশ রোগীকে সাক্ষাৎকার প্রদানের বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছিলো ২০১৬ সালে।
এনএইচএস ইংল্যান্ড-এর প্রধান নির্বাহী আমান্দা প্রিটচার্ড বলেন, জট কাটাতে সময় লাগবে এবং রাতারাতি তা সম্ভব নয়। তবে স্বাস্থ্য সেবা মহামারীর সময়ে কাজ করেছে, এখনও সেটা প্রয়োজনে প্রয়োগ করবে।
ছায়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং এনএইচএস-এর অব্যাবস্থাপনার জন্য রক্ষণশীলদের দায়ী করে বলেন, মহামারীর পূর্ব থেকেই তাদের কর্মকাণ্ড হ্রাস পাচ্ছিলো।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button