ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে মাদক সংশ্লিষ্ট সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে মাদক সংশ্লিষ্ট মৃত্যুর সংখ্যা গত বছর ছিলো রেকর্ড সর্বোচ্চ। ১৯৯৩ সালে রেকর্ড শুরুর পর এটা সবচেয়ে বেশি। এসময়ে মাদকের বিষক্রিয়ায় মোট ৪৫৬১ মৃত্যুর বিষয় রেকর্ড করা হয়। প্রতি ১০ লাখে এর হার ৭৯.৫ জন।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স জানিয়েছে, মৃত্যু রেকর্ডে বিলম্বের দরুন,২০১৯ সালে এ সংখ্যা এর অর্ধেক দেখা যায়। এতে আরো বলা হয়, এর অধিকাংশই ঘটে মহামারির পূর্বে।
প্রতি বছর প্রকাশিত পরিসংখ্যানের সর্বশেষটিতে দেখা যায়, বিভিন্ন অঞ্চলে নারী ও পুরুষের মধ্যে মারাত্মক তারতম্য বিদ্যমান। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের মৃত্যুর সংখ্যা নারীর চেয়ে দ্বিগুণ পরিলক্ষিত হয়।
এসময়ে উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডে মাদকের অপব্যবহার জনিত মৃত্যুর সর্বোচ্চ হার লক্ষ্য করা গেছে, যা প্রতি মিলিয়ন অর্থাৎ ১০ লাখে ১০৪.৬ জন। আর লন্ডনে এই সংখ্যা সবচেয়ে কম, মাত্র ৩৩.১ জন। বয়সের বিচারে, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ৪৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মানুষের। গত বছরের এ সংখ্যা ২০১৯ সালের মোট মৃত্যুর চেয়ে ৩.৮ শতাংশ অর্থাৎ ৪৩৯৩ জন বেশি।
ওএনএস বলেছে, ২০২০ সালে রেকর্ডকৃত মোট মৃত্যুর অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় ২২৬৩ জনের মৃত্যুর সাথে অপিয়েট সম্পৃক্ত। এদের মধ্যে ৭৭৭ জন কোকেইন সেবী ছিলো। ২০১৯ সালে প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এর চার গুণেরও বেশি রেকর্ড করা হয় ২০১৯ সালে ।
একটি নিরপেক্ষ পর্যালোচনা পর ওএনএস পরিসংখ্যানগুলোতে বলা হয়েছে, মাদকাসক্তদের মাদকাসক্তি দূরীকরণে ব্যয় কর্তন এই উদ্যোগকে নতজানু করে ফেলেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, মন্ত্রীদের ‘ডেইম ক্যারোল ব্ল্যাক‘ থেকে আসা সুপারিশগুলোর প্রতি নিবিড় দৃষ্টি প্রদান করতে হবে, যারা ইংল্যান্ডে ৫ বছর যাবত অতিরিক্ত ৫৫২ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছে।
সরকার বলেছে, তারা মাদকের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে একটি নতুন ক্রস-গভর্নমেন্ট ইউনিট প্রতিষ্ঠা করবে।
রয়েল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্ট এর এডিকশন ফ্যাকাল্টির সহ-সভাপতি ডাঃ এমিলি ফিন্চ বলেন, প্রতিটি মাদক কিংবা মদ্যপান সংশ্লিষ্ট মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য এবং আমরা ঐসব ব্যক্তিদের চিন্তাভাবনার সাথে আছে,যারা ইতোমধ্যে এভাবে কাউকে হারিয়েছেন।



