ইউরো ২০২০ ফাইনালে ব্রিটিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

ইউরো ২০২০ ফাইনাল খেলায় ওয়েম্বলী স্টেডিয়ামের গেটের প্রহরায় নিয়োজিত স্টুয়ার্ডের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। অনেকে এজন্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে দায়ী করেছেন। অনেকের মতে, যখন টিকেটবিহীন উচ্ছৃঙ্খল দর্শকেরা বলপূর্বক স্টেডিয়ামের গেট দিয়ে ঢুকছিলো, তখন স্টুয়ার্ডদের অনেকটা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। তারা দর্শকদের কোন বাধা দিতে পারেনি। তাদের এধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলো বলে মনে হয়নি।

ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য হচ্ছে, ইউরো ২০২০-এর ফাইনাল ম্যাচে নিরাপত্তারক্ষী ও স্টুয়ার্ডের সংখ্যা চাহিদার তুলনায় বেশী ছিলো এবং এটা স্টেডিয়ামে আগের যে কোন ক্রীড়ানুষ্ঠানের চেয়ে বেশী ছিলো। কিন্তু বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে,অনেক স্টুয়ার্ড রোববার যায়নি কিংবা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেনি। অনেকে জানিয়েছে, তারা এর আগে এ ধরনের কোন বড়ো ফুটবল ম্যাচে কাজ করেনি এবং আবশ্যকীয় অভিজ্ঞতা কিংবা যোগ্যতা তাদের নেই।
ম্যাচের চূড়ান্ত বাঁশি বাজার পর দেহ, ব্যাগ পরিবহন এবং ব্যাপকভাবে কোভিড পরীক্ষা ও ঝুঁকিতে পড়া লোকজনকে নিরাপদে ও স্বাস্হ্যসম্মতভাবে রাখার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়েছে। অনেক ভিডিও ও জবানবন্দী থেকে জানা গেছে, লোকজন সফলভাবে এমনকি বিনা প্রচেষ্টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে স্টুয়ার্ডের ছদ্মবেশে ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়। একটি ফুটেজে দেখা যায়, তিনজন যুবক টয়লেটের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মীর ছদ্মবেশে ভেন্যুতে গিয়ে সমর্থক হিসেবে প্রথম সারিতে বসে খেলা দেখছে।
গ্রাহাম হিলি নামক জনৈক ব্যক্তি তার প্রতিবন্ধী পুত্র টিম ও তার বন্ধু জো ম্যাকলনডোকে নিয়ে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। পুত্র ও তার বন্ধু উভয়ই ছিলো হুইলচেয়ারে। তার অপর ছেলে মার্টিন তাদের খেয়াল রাখছিলো। কিন্তু গেইট কে’র বাইরে হট্টগোল দেখে তারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে প্রবেশ পথে টিকেটবিহীন শত দর্শকের ঠেলা ধাক্কায় তারা মেঝেতে পড়ে যায়। সেখানে নিরাপত্তার বিষয়টিকে বিশৃঙ্খল বলে বর্ণনা করা হয়েছে। একটি প্রিমিয়ার লীগ ক্লাবের জনৈক নিরাপত্তা কর্মকর্তার মতে, তিনি সমম্পূর্ণ হতভম্ব।সেখানে সিকিউরিটি ও স্টুয়ার্ডিংয়ে মারাত্মক ব্যর্থতা ছিলো।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button