লন্ডনের বার্ষিক গড় ঘর ভাড়া ৩০ হাজার পাউন্ডে পৌঁছতে পারে

লন্ডন মেয়র সাদিক খান এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ লন্ডনে বার্ষিক গড় ঘর ভাড়া ৩০ হাজার পাউন্ডে পৌঁছতে পারে। এই মারাত্মক পূর্বাভাস বর্তমান রেন্ট লেভেল এবং এস্টেট এজেন্ট স্যাভিল্স-এর গবেষণার ভিত্তিতে করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, সদ্য নতুন বাড়িঘরসহ লন্ডন রেন্ট ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে।

জনাব খান বলেন, আজকের বিশ্লেষণে একটি ভয়াবহ চিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে। যদি আমরা নার্স, পুলিশ কর্মকর্তা, পরিবহন শ্রমিক ও গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিকদের পরবর্তী প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ দিতে চাই এবং চাই যে, তারা লন্ডনে কাজ করুক, তবে ক্রমবর্ধমান ভাড়া বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা ছাড়া অন্য কোন পন্থা নেই।
জেনারেশন রেন্ট-এর পরিচালক অ্যালিসিয়া কেনেডি এই মর্মে একমত পোষণ করেন যে, ঘরভাড়া লন্ডনের অনেক বাসিন্দার আয়ের সংগতির বাইরে। বিগত দশকে অনেক লন্ডনবাসীর পক্ষে তাদের কর্মস্থল কিংবা সাপোর্ট নেটওয়ার্কের কাছাকাছি থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।আবার অনেকের পক্ষে একটি পরিবার শুরু করা সম্ভব হয়নি।
বলাবাহুল্য, মহামারী লন্ডনের রেন্টাল মার্কেটে শুধু যে একটি বড়ো ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে এবং এর বাসিন্দাদের আয় হ্রাস করেছে তা নয়, বরং রেন্ট লেবেলের ওপরও প্রভাব সৃষ্টি করেছে। হ্যাম্পটনস- এর গবেষণায় দেখা গেছে, সিটির কেন্দ্র থেকে লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় ঐ স্থানে ঘরভাড়া প্রায় ১৮ শতাংশ হ্রাসসহ একটি দ্বি-স্তরবিশিষ্ট পদ্ধতির উদ্ভব ঘটেছে। তবে উপশহরের ভাড়া বৃদ্ধি ঘটেছে ৫ শতাংশেরও বেশি।
দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনে অবস্থিত অরলান্ডো রীড এস্টেট এজেন্টস এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জ্যাক রীডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনা মহামারীর সময়ে ব্যাটারসী ও ক্ল্যাপহ্যামে ভাড়া ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এমনকি ভক্সহল ও নাইন এলমস-এ এরচেয়েও বেশী ক্ষতি অর্থাৎ ৩০ শতাংশ হ্রাস ঘটেছে। বিগত বছরে বিদেশী শিক্ষার্থী না থাকায় মার্কেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । তবে তিনি মনে করেন, কোভিড বিধি নিষেধ শিথিল হওয়ার ফলে ঘর ভাড়া আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button