করোনাকালীন ভুয়া ডেলিভারি টেক্সট মেসেজে প্রতারণা

ব্রিটেনে করোনা মহামারীকালীন সময়ে সরবরাহ সংক্রান্ত মেসেজ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃটেনের ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ এমন কারসাজির শিকার। গত বছর এদের প্রত্যেকেই কমপক্ষে একটি ভুয়া টেক্সট মেসেজ পেয়েছেন। কনজ্যুমার রাইটস গ্রুপের এক সমীক্ষায় এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এ ধরনের কারসাজি এতই প্রবল যে, এমনকি সম্পূর্ণ নতুন ও অব্যবহৃত মোবাইল নম্বরেও এগুলো দেয়া হচ্ছে। মহামারীর সময়ে বৃটেনে ই-কমার্স বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে কারসাজিকারকরা ভুয়া ডেলিভারীর নামে গ্রাহকদের ব্যাংক একাউন্টসমূহসহ ব্যক্তিগত তথ্য জেনে নিচ্ছে।

সাধারণত: ভুয়া টেক্সট মেসেজে দাবি করা হয় যে, প্যাকেজ সরবরাহের ক্ষেত্রে তথ্য হারিয়ে গেছে কিংবা এজন্য ফী পরিশোধ করতে হবে। এভাবে ভিকটিমদের নিকট থেকে কৌশলে তাদের সম্পূর্ণ ব্যাংক একাউন্ট হাতিয়ে নেয়া হয়। এধরনের কারসাজিমূলক টেক্সট পেয়েছেন এমন ব্যক্তিদের ৭০ শতাংশ বলেন যে, তারা ঘটনার পর অবিলম্বে বিষয়টি অনুধাবনে সক্ষম হন।৩০ শতাংশ বলেন, কারসাজির শিকার হয়ে তারা অর্থ খুইয়েছেন।
দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম মোবাইল কোম্পানিসমূহের প্রত্যেকটি দু‘সপ্তাহে এমন ভুয়া টেক্সট পেয়েছে এমন সব নম্বরে, যেগুলো এর আগে কখনো ব্যবহৃত হয়নি। সংস্থাটির একজন ভোক্তা অধিকার বিশেষজ্ঞ অ্যাডামস বলেন, আমাদের গবেষণায় দেখেছি কিভাবে প্রতারকরা বৃটেনের ওপর ব্যাপকভাবে ডেলিভারি টেক্সটের বোমাবৃষ্টি শুরু করেছে, এই মহামারীর সময় অপ্রত্যাশিত অবস্থায় লোকজনকে প্রতারিত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, কুরিয়ার ও টেলিকমসমূহকে অবশ্যই গ্রাহকদের সুরক্ষায় অধিকতর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের ফ্রড রিপোর্টিং সেন্টার বলেছে, তারা ৩৫ জন ভিকটিম অর্থাৎ প্রতারিত ব্যক্তির নিকট থেকে অভিযোগ পেয়েছেন। যারা মোট ১০ লাখ ৩ হাজার পাউন্ড খুইয়েছেন ডিপিডিসি থেকে ভুয়াভাবে প্রাপ্ত একই প্রকৃতির টেক্সটের মাধ্যমে।
শিল্পসংস্থা ইউকে ফাইন্যান্স-এর অর্থনৈতিক অপরাধ বিষয়ক প্রধান কেটি উরোবেক বলেন, আপনার তথ্য কিংবা অর্থ প্রদানের আগে সর্বদা এক মুহূর্ত ভাববেন এবং কারসাজি সন্দেহ হলে কোন ই-মেইল কিংবা টেক্সট মেসেজ সংক্রান্ত লিংকে ক্লিক পরিহার করবেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button