যুক্তরাজ্যে বিটকয়েন কোম্পানীগুলো নিষিদ্ধ হচ্ছে

যুক্তরাজ্যের মানিলন্ডারিং আইনের নীতিমালা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় অর্ধশত বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সী ব্যবসায়ী কোম্পানী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গত বৃহস্পতিবার সিটি রেগুলেটর ফাইন্যান্সিয়াল কনডাক্ট অথোরিটি এই মর্মে ঘোষণা করে যে, একটি অস্থায়ী পারমিট স্কীম থেকে একটি নজীরবিহীন সংখ্যক কোম্পানী আবেদনপত্র প্রত্যাহার করেছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা অব্যাহত রাখতে পারবে কি-না তা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে রেগুলেটরের ওপর। এ অবস্থায় রেগুলেটর গ্রীন লাইট বা সবুজ সংকেত দেবে, না আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রত্যাখ্যান করবে এটাই দেখার বিষয়।
একটি তাৎপর্যপূর্ণ বেশী সংখ্যক এসব প্রতিষ্ঠানকে এই মর্মে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে, অপরাধী ও সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর অর্থের উৎস লুক্কায়িত রাখা বন্ধে প্রত্যাশিত মানি লন্ডারিং বিরোধী মানদন্ডে তাদের তৎপরতায় ঘাটতি লক্ষণীয়। এসব অপরাধী ও সন্ত্রাসী আর্থিক চ্যানেলসমূহের একটি জটিল জালের মাধ্যমে তাদের অর্থের উৎস গোপন রাখে।
পারমিট প্রক্রিয়ার বাইরে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা অবিলম্বে বন্ধ করা প্রয়োজন, যতক্ষন না তারা ওয়াচডগের স্ট্যান্ডার্ড পূরণ করছে এবং নিবন্ধিত ব্যবসাসমূহের আনুষ্ঠানিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
যেসব কোম্পানী ব্যবসা বন্ধ করতে অস্বীকার করেছে, তাদের জরিমানা কিংবা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে পারে এফসিএ। বিশ্বব্যাপী বিপুল সংখ্যক রেগুলেটার ক্রিপ্টো এসেট বা সম্পদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে, মানি লন্ডারিং ও কালোবাজারিদের সাথে যেগুলোর যোগসাজশ রয়েছে।
চীনা রেগুলেটারসমূহ ক্রিপ্টোকারেন্সীর সাথে সম্পৃক্ত কোন গ্রাহককে ব্যাংকিং ও অর্থ-পরিশোধকারী প্রতিষ্ঠানের সেবা দানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারা ক্রিপ্টো সম্পদের ব্যবসা সংক্রান্ত ঝুঁকির বিষয়েও সতর্ক করে দিয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর এন্ড্রু বেইলী বিনিয়োগকারীদের বলেছেন, যদি তারা ক্রিপ্টোকারেন্সীতে জড়িত হন, তবে তাদেরকে সর্বস্ব হারানোর জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। ক্রিপ্টো এসেট যুক্তরাজ্যের স্কীমের অন্তর্ভুক্ত নয়, যা কোম্পানী বিলুপ্ত হলে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত পাওয়ার দাবিকে সহায়তা করে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button