লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশে বর্ণবাদের অভিযোগ

ব্রিটেনের বৃহত্তম পুলিশ বাহিনীতে কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয় অফিসারদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নেই। একথা বলেছেন ব্রিটেনের সাবেক চীফ সুপারিনটেনডেন্ট ও ৭/৭- এর বোমা হামলার পর দায়িত্ব পালনে বিশেষ অবদান রাখায় ‘এশিয়ান উইমেন অব এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ী পার্ম সান্ধু।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন ১৯৯৯ সালের চেয়েও খারাপ, যখন বর্ণবাদী হামলায় নিহত স্টিফেন লরেন্সের ঘটনা লন্ডনে একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা হিসেবে রিপোর্ট হয়। এ ঘটনাকে প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদী ঘটনা হিসেবে গণ্য করা হয়। ২০১৮ সালে মিসেস সান্ধুর বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ আনা হয় যে, ‘কুইন্স পুলিশ মেডেল’- এর জন্য তাকে মনোনীত করতে তার সহকর্মীদের তিনি অনুপ্রাণিত করেন। এর ফলে তাকে মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি বিশেষ শাস্তিমূলক দায়িত্বে ন্যস্ত করা হয়, তার ৩০ বছরের চাকুরী জীবনের শেষ বছরে।
তার নাম বাদ দেয়া হলে তিনি এমপ্লয়মেন্ট ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন যে, বর্ণবাদ ও লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে তাকে পদোন্নতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, অনেক উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা বর্ণবাদী। আবার অনেক ভালো কর্মকর্তাও আছেন, যারা দয়ালু, সত্যের পক্ষে এবং ইতিবাচক পরিবর্তন চান।
তিনি একটি ঘটনার কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি যখন পেট্রোল বা প্রহরার দায়িত্বে ছিলেন, তখন জনৈক ব্যক্তি তার প্রতি বর্ণবাদী উক্তি করে। তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, ২০১৮ সালে একজন চীফ সুপারিনটেনডেন্ট হওয়ার জন্য তার সাক্ষাতকারের সময় তাকে তার ভারতীয় ঐতিহ্য সম্পর্কে আলোচনা করতে বলা হয়। তিনি এটাকে হাস্যকর বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন।
মিসেস সান্ধু এক্ষেত্রে কমিশনার ডেইম ক্রেসিডা ডিকের প্রতি সবচেয়ে বেশী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশে প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদ বিদ্যমান এবং ম্যাকপার্সনের তদন্তের পর এ অবস্থার আরো অবনতি ঘটেছে।
মেট্রো পুলিশের জনৈক মুখপাত্র বলেন, মিসেস সান্ধু ২০১৯ সালে তার অবসর গ্রহনের পূর্বে তিনি আমাদের সবচেয়ে সিনিয়র অপারেশনাল লীডারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button