‘প্রীতি প্যাটেলের ডিটেনশন নীতিমালা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী’

ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে মৃত্যুর ঘটনা যথাযথভাবে তদন্তে ব্যর্থতার জন্য ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলকে দায়ী করেছেন আদালত। গত বুধবার প্রদত্ত এক যুগান্তকারী রুলিংয়ে দুজন জজ বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডিটেনশন নীতিসমূহের মধ্যে তিনটি মানবাধিকার লংঘন করেছে এবং তিনি এসব মৃত্যুর বিষয়ে তদন্তকে নস্যাৎ করতে কিংবা তুচ্ছ করে দেখতে পারেন না।
রুলিংটি নাইজেরিয়ার বাসিন্দা ভ্রাতৃদ্বয় আহমদ লাওয়াল এবং অস্কার লাকি ওকউরাইমকে নিয়ে। তারা দু’জন হারমন্ডওয়ার্থ ইমিগ্রেশন রিমুভ্যাল সেন্টারে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ওকউরাইমকে তার সেলে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
লাওয়াল একজন প্রধান সাক্ষী হিসেবে প্রমাণিত। কিন্তু তিনি কোনো প্রমাণ প্রদানের আগেই এই মৃত্যুর ৫ দিন পর হোম অফিস তাকে বহিষ্কার করে। তিনি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন এবং একজন বিচারক তার বহিষ্কার থামিয়ে দেন। লায়াল ২০২০ সালের নভেম্বরে তদন্তকালে প্রমান দেন। তদন্তে দেখা যায়, ওকউরাইম অস্বাভাবিক ভাবে মারা যান। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পর চিকিৎসায় অবহেলাজনিত কারণে তার মৃত্যু ঘটে।
লায়ালের আইনি চ্যালেঞ্জের ফল হচ্ছে এই রুলিং,যাতে একটি মৃত্যুর গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে মামলায় তার প্রয়োজন আছে কি-না, এ ব্যাপারে স্পষ্ট হওয়ার আগে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বহিষ্কার করতে পারেন কি-না, এ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
বিচারকদের মতে, লায়ালকে নাইজেরিয়ায় বহিষ্কারের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বেআইনী। এটা ডিটেনশনে একটি মৃত্যুর ব্যাপারে প্রাসঙ্গিক তথ্য জানা আছে এমন কাউকে শনাক্ত করতে এবং প্রমাণ সংগ্রহে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার প্রমাণ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বর্তমান নীতি আইন অনুযায়ী ঘাটতিপূর্ণ। বিচারকের অভিমত হচ্ছে যে, ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে একটি মৃত্যুর পর কি করা উচিত এ ব্যাপারে নির্দেশনা সংক্রান্ত একটি নীতির অনুপস্থিতি বেআইনী এবং এ ধরনের নীতি থাকা আবশ্যক। লায়ালের আইনজীবী ডানকান লিউয়িস সলিসিটর্স-এর জ্যামি বেল বলেন, এই মামলা বহিষ্কার বাস্তবায়নকালে হোম অফিসের অশ্রদ্ধাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button