ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করলেন লন্ডন মেয়র

লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কর্তৃক ট্রান্সপোর্ট অব লন্ডনে অর্থায়ন সংক্রান্ত তার মিথ্যাচারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। ডাউনিং স্টিটের প্রেস ব্রিফিংয়ে বরিস তার প্রতি এ ধরনের মিথ্যাচার করেন বলে তার অভিযোগ। রোড ম্যাপের পরবর্তী পর্যায় ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী বর্তমান লেবার পার্টির মেয়রের দায়িত্বহীন ভাড়া নীতির সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান মেয়র ট্রান্সপোর্ট অব লন্ডনের অর্থায়নকে একটি দায়িত্বহীন ভাড়া নীতিতে ফেলে দিয়েছেন, যা করোনাভাইরাস মহামারির সময় ভ্রমণ হ্রাসের ফলে সৃষ্ট ক্ষতির চেয়েও বেশি।
মি: জনসন বলেন, ট্রান্সপোর্ট অব লন্ডন-এর অর্থায়নের ক্ষেত্রে অবশ্য শ্রদ্ধার সাথে আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া উচিত যে, আমি তা বিশাল ও সুশৃঙ্খল অবস্থায় রেখে এসেছিলাম। বর্তমান লেবার পার্টির মেয়র যদি একটি দায়িত্বহীন ভাড়া নীতির মাধ্যমে এটা ধব্বংস করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন, তবে এতে আমার নিজের কোন দোষ নেই।
তিনি আরো বলেন, আমরা তাদেরকে যত ভালোভাবে সম্ভব সাহায্য করছি। তবে বর্তমান লেবার মেয়র কর্তৃক গৃহীত কিছু সিদ্ধান্তের বিষয়টিও সকলের নজরে রাখা দরকার।
তিনি বলেন, আপনার কর্মকান্ড আমাকে এটা বলতে বাধ্য করেছে যে, আমি লন্ডনের একজন গর্বিত সাবেক মেয়র। আমি মনে করি বর্তমানে ট্রান্সপোর্ট অব লন্ডন যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দেয়া দরকার। তবে এর অর্থ এই নয় যে আমরা সহায়তা অব্যাহত রাখবো না। অবশ্যই আমরা তা অব্যাহত রাখবো। তবে আমরা মেয়রের নিকট থেকেও কিছু দায়িত্বশীলতা আশা করি।
বরিস বলেন, ট্রান্সপোর্ট অব লন্ডনের অর্থায়নে একটি ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বর বিদ্যমান বলে আমার সন্দেহ রয়েছে। এমনকি কোভিড শুরুর আগে থেকেই তা ছিলো। আমি নিশ্চিত জনগণের এসব মনে আছে।
মেয়র সাদিক খান টুইট বার্তায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী করদাতাদের ২.৬ মিলিয়ন ব্যয়ে তৈরি প্রেস কনফারেন্স রুম থেকে আবারো মিথ্যাচার করেছেন। তিনি বলেন,ট্রান্সপোর্ট অব লন্ডনের চ্যালেন্জসমূহের প্রধান হচ্ছে কোভিড-১৯ ।মহামারির আগে আমি তার সৃষ্ট জগাখিচুড়ি অবস্থা দূর করার চেষ্টা করেছিলাম। তিনি যা রেখে গেছেন তার তুলনায় ৭১ শতাংশ ঘাটতি হ্রাসের মাধ্যমে।
২০১৬ সালে বরিস জনসনের মেয়র অফিস ত্যাগের মাস খানেক পূর্বে ট্রান্সপোর্ট অব লন্ডন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।এতে দেখা যায় ট্রান্সপোর্ট অফ লন্ডনের মনোনীত ঋণের পরিমাণ ৯.১৪৮ বিলিয়ন পাউন্ড।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button