২২ বিলিয়ন পাউন্ডের টেস্ট এন্ড ট্রেইস লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ

হাসনাত চৌধুরী(লন্ডন): একটি নিন্দাসূচক অফিশিয়েল রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২২ বিলিয়ন পাউন্ডের বিশাল ব্যয় সত্বেও কভিড-১৯ মোকাবেলায় ইংল্যান্ডে গৃহীত সরকারের টেস্ট এন্ড ট্রেইস কর্মসূচী উপর্যুপরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। টেস্ট রেজাল্ট প্রদান ও সংক্রমিত লোকজনের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে এই ব্যর্থতা প্রকাশ পেয়েছে।

ন্যাশনাল অডিট অফিস (এনএও) এর রিপোর্টে দেখা গেছে, এই কেন্দ্রিভূত কর্মসূচী প্রতি ৩জন লোকের মধ্যে ২জনের সাথে যোগাযোগ করছে, যারা টেস্টে পজিটিভ হওয়া কারোর সংশ্রবে বা সংস্পর্শে গিয়েছেন। এভাবে ২৪ ঘন্টা ৪০ শতাংশ লোকের টেস্ট রেজাল্ট প্রদান করছে, যা সরকারী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, ইন-পারসন টেস্টিংয়ের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফলাফল প্রদান মধ্য অক্টোবরে ১৪ শতাংশে নেমে যায়। এর আগে নভেম্বরের শুরুতে এটা ৩৮ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছিলো। নিরীক্ষকরা বলেন, টেস্ট এন্ড ট্রেইস-এ কর্মরতদের জন্য কল হ্যান্ডলারের চুক্তির পরিমাণ ছিলো ৭২০ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত। কিন্তু অনেক স্টাফের তেমন কিছু করার ছিলো না। প্রয়োগের হার সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেশীর ভাগ জুড়ে লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশেরও কম থেকে যায়। এর অর্থ হচ্ছে, ঐসব স্টাফের পেছনে যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করা হয়েছে, যারা বিনিময়ে সর্বনি¤œ সেবা প্রদান করেছেন। ছায়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোনাথন অ্যাশওয়ার্থ বলেন, রিপোর্টটি রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় একটি ক্রমবর্ধমান ব্যবধান প্রকাশ করেছে।
তিনি আরো বলেন, ২২ বিলিয়ন ডলারের টেস্ট এন্ড ট্রেইসের এখন পুলিশিং ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ বাজেটের চেয়ে বড়ো বাজেট রয়েছে। এক্ষেত্রে মোবিলাইজ অভিজ্ঞ পাবলিক হেলথ এক্সপার্টিজের চেয়ে বড়ো প্রাইভেট আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানসমূহকে মাল্টিবিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তিসমূহ দেয়া হয়েছে এবং যথেষ্ট সংখ্যক সংশ্রব শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে কিংবা ঐসব ব্যক্তিদের আইসোলেশন নিশ্চিতকরণে ব্যর্থ হয়েছে, যারা সংশ্রবে এসেছে। অথচ পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে এসব ক্ষেত্রে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত ২ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করা হয়েছে। চুক্তির ৭০ শতাংশই কোন প্রতিযোগিতা ছাড়াই জরুরী ব্যবস্থা হিসেবে সরাসরি প্রদত্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button