মহামারি ব্রিটেনের ২০ লাখ পরিবারকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেবে

সম্প্রতি এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মহামারির কারণে ব্রিটেনে অসহায় মানুষের সংখ্যা দ্বিগুন হওয়ার আশংকা রয়েছে। মন্দা গভীর হওয়ায় ১০ লাখ শিশুসহ ২০ লাখ পরিবার খাবার যোগাড় করতে, নিজেদের উষ্ণ কিংবা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হিমশিম খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জোসেফ রাউনট্রি ফাউন্ডেশন (জেআরএফ) পরিচালিত এ সমীক্ষায় আরো বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু দেশের দরিদ্রতম পরিবারগুলো চরম দারিদ্র্যের সম্মুখীন হয়েছে। এতে সমাজের সবচেয়ে অরক্ষিতদের সুরক্ষা প্রদানে একটি সামাজিক নিরাপত্তা পদ্ধতির অব্যাহত ব্যর্থতা প্রকাশ পেয়েছে।
সমীক্ষায় আরো বলা হয়েছে, বিগত দশকগুলোতে সোশ্যাল সিকিউরিটির হারে কর্তন, ইউনিভার্সেল ক্রেডিট এন্ড ডিজেবিলিটি বেনিফিটসমূহের ত্রুটি, বেনিফিট ক্যাপসহ ওয়েলফেয়ার সংস্কারের মারাত্মক প্রতিক্রিয়া মহামারির আগেই চরম দারিদ্র্যকে দ্রুত বৃদ্ধি করেছিলো। কভিড-১৯ এর কারণে এবং বেনিফিট সিস্টেমের ত্রুটির দরুন অসহায় মানুষের সংখ্যা অতি দ্রুত বাড়ছে।
দেখা গেছে, ব্রিটেনের ব্ল্যাকপুল, কিংস্টন আপন হিল, লিভারপুল, মানচেষ্টার, মিডলবারা, নিউক্যাসল আপন টাইন, নটিংহ্যাম এবং স্যালফোর্ডের প্রতি ১০০ গৃহস্থালীর একটিরও বেশীতে চরম দারিদ্র্য বিদ্যমান।
সমীক্ষায় অসহায়ত্ব্ বা চরম দারিদ্র্য বলতে দুই বা ততোধিক মানুষের বিগত মাসে আশ্রয়, খাদ্য, হিটিং, লাইটিং, আবহাওয়া-উপযোগী পোশাক কিংবা বেসিক টয়লেট্রিজ যোগাড়ে অক্ষমতা কিংবা হাউজিং ব্যয়ের পর একজন একক পুরুষের সপ্তাহিক আয় ৭০ পাউন্ড বা তার কম হওয়া কিংবা ২ সন্তানসহ দম্পত্তির আয় ১৪৫ পাউন্ডের কম হওয়াকে বুঝানো হয়েছে। অসহায় মানুষের অর্ধেকেরও বেশী সাধারনত: খাদ্যের ঘাটতিতে ভুগছে, ৪৯ শতাংশ উপযুক্ত পোশাক পাচ্ছে না এবং বেসিক টয়লেট্রিজ পাচ্ছে না ৪৩ শতাংশ লোক। অসহায় গৃহস্থালীর এক তৃতীয়াংশের কোন আয় নেই বললেই চলে।
সমীক্ষার উপসংহারে বলা হয়েছে, একটি জাতীয় (বৈশ্বিক) স্বাস্থ্যগত জরুরী অবস্থায় যুক্তরাজ্যের ভূমিতে অবস্থানকারী সকলের অন্তত: বেঁচে থাকার জন্য মৌলিক আবশ্যকীয় সামগ্রী পাওয়া উচিত, যা একটি বিত্তশালী ও মানবিক সমাজের নিশ্চিত করা উচিত।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button