পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে হোম অফিস

হাইকোর্ট এইমর্মে রুল জারি করেছে যে, হোম অফিস সম্ভাব্য পাচারের শিকারদের অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট হিসেবে আচরণ থেকে রক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার এক নিন্দাসূচক রায়ে হাইকোর্ট বলেছে যে, বিদ্যমান নীতিতে একটি ‘অবৈধ ফাঁক’ থাকায় আধুনিক দাসত্বের দাবি নিয়ে অপেক্ষমাণ লোকজনের ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস বাতিল করা হচ্ছে। ক্যাম্পেইনাররা হোম অফিসকে আধুনিক দাসত্ব মোকাবেলায় তার প্রতিশ্রুতিসমূহকে পদদালিতকরণে বিতর্কিত বৈরী পরিবেশ নীতিমালাকে অনুমোদন দেয়ায় অভিযুক্ত করেছে, যার ফলে বঞ্চিত অরক্ষিত লোকজন মৌলিক সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মামলায় দেখা গেছে, আধুনিক দাসত্ব শনাক্তকরণের জন্য যুক্তরাজ্যের ফ্রেম ওয়ার্ক ন্যাশনাল রেফারেল মেকানিজম (এনআরএম)-এ যাদের রেফার্ড করা হয়েছে, তারা তাদের মামলার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষায় থাকাকালীন ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস হারিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের নাগরিক জনৈক মহিলা একটি টিয়ার-৫ ইয়াথ মোবিলিটি স্কীম ভিসায় ২০১৭ সালে ব্রিটেনে আসেন, যার মেয়াদ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিল। কিন্তু ব্রিটেনে আসার ৭ মাস পর তিনি এমন একজন লোকের খপ্পরে পড়েন, যে তাকে যৌন নিপীড়ন করে এবং পতিতা বৃত্তিতে বাধ্য করে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উক্ত নারী পালাতে সক্ষম হন এবং এনআরএস-এর রেফার্ড হন। এ অবস্থায় তার ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে এক বছর বাকী ছিলো। কিন্তু ভিসার মেয়াদ থাকা অবস্থায় তার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় ট্রাফিকিং সাপোর্ট অর্গ্যনাইজেশনে তার কাজ বা চাকুরী বন্ধ হয়ে যায়, যারা তাকে নিয়োগ করেছিলো। তাকে আর্থিক দিক দিয়ে রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল হতে বাধ্য করা হয়।
ঐ নারী ২০১৯ সালের ডিসেম্বেরে তার পাচার সংক্রান্ত দাবির পক্ষে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত লাভ করেন। কিন্তু তাকে থাকার অনুমতি দেয়া হবে কি-না, এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়। এর মানে হচ্ছে, তখনো তার কোন আনুষ্ঠানিক ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস নেই।
এই মামলায় গত বৃহস্পতিবার প্রদত্ত এক রায়ে মি: জাস্টিস মস্টিন বলেন, দাবিদার একজন ওভারস্টেয়ার অর্থাৎ মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসারধারীতে পরিণত হয়েছেন, বলা যায় ব্রান্ডেড ক্রিমিনাল। এ অবস্থায় তিনি মৌলিক সেবাসমূহ থেকে বঞ্চিত, চাকুরীহীন, অমানবিক অবস্থায় নিপতিত এবং দন্ডকৃত।
তিনি উপসংহারে বলেন, হোম অফিস সম্ভাব্য পাচারের শিকার হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর এসব লোককে যুক্তরাজ্য থেকে বহিষ্কার ঠেকাতে বেআইনীভাবে ব্যর্থ হচ্ছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button