এনএইচএস হসপিটাল শিশু মৃত্যুর অভিযোগে বিচারের সম্মুখীন হচ্ছে

একটি এনএইচএস ট্রাস্ট হাসপাতাল এখন বিচারের সম্মুখীন একটি পরিহারযোগ্য শিশু মৃত্যুর ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন না করার অভিযোগে। এটা এ ধরনের হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রথম কেস। কেয়ার কোয়ালিটি কমিশন (সিকিউসি) ২০১৭ সালে হ্যারি রিচফোর্ডের মৃত্যুর ঘটনায় ইস্ট কেন্ট হসপিটালস্ – এর বিরুদ্ধে দু’টি ফৌজদারি অভিযোগ আনবে। ওয়াচডগ কর্তৃক একটি এনএইচএস ট্রাস্টকে রোগীর ক্লিনিক্যাল কেয়ারের ক্ষেত্রে একটি নিরাপত্তায় ব্যর্থতার জন্য বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে আসার ঘটনা এই প্রথম।

২০১৫ সালে স্ট্যাফোর্ড হসপিটাল সেবা বিপর্যয়ের ঘটনায় সরকারী অনুসন্ধানের পর কমিশনকে এ ধরনের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। যদিও সিকিউসি স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ব্যর্থতার ক্ষেত্রে হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তবুও এটা কখনোই রোগীর অনিরাপদ যত্নের জন্য একটি এনএইচ ট্রাস্টের বিরুদ্ধে মামলা করেনি।
এক বিবৃতিতে হ্যারির পরিবার বলেন, আমরা এজন্য সন্তুষ্ট যে, সিকিউসি সারাহ ও হ্যারির অনিরাপদ যত্ন ও চিকিৎসার ব্যাপারে ইস্ট কেন্ট হসপিটালস্ ট্রাস্টের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়েরের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এক বিবৃতিতে হাসপাতালের বর্তমান প্রধান নির্বাহী বলেন, নিরাপদ সেবা ও চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে এটা একটি স্বীকৃত ছিলো, যার জন্য হাসপাতাল গভীর ভাবে দুঃখিত। শিশু হ্যারি ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর মারা যায়। ২ নভেম্বর জন্মের মাত্র সাত দিনের মাথায় তাকে এ জগত থেকে বিদায় নিতে হয়।
হাসপাতালের একজন অনভিজ্ঞ লোকাম ডাক্তার একটি মারাত্মক সীজারিয়ান অপারেশন করেন, যিনি ট্রাস্ট কর্তৃক যথেষ্টভাবে মূল্যায়িত হননি এবং তিনি শিশুটিকে শ্বাস নিতে সাহায্য করতে ২৫ মিনিটের বেশি বিলম্ব করেন। হ্যারি এক মারাত্মক অক্সিজেন স্বল্পতা ও ব্রেন ডেমেজের শিকার হয়।
ইস্ট কেন্ট হসপিটালস্ এর চীফ এক্সিকিউটিভ মিসেস একোট বলেন, আমরা হ্যারির ডেলিভারী ও পরবর্তী সময়ে ভুলের বিষয়টি স্বীকার করছি। ঐ সময়ে হ্যারির পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হয়নি এবং প্রয়োজনীয় জবাবও দেয়া হয়নি। তাদের অতিরিক্ত বেদনার জন্য আমরা গভীর অনুশোচনা করছি।
গত জানুয়ারী মাসে ট্রাস্টে এক ডজন শিশু মৃত্যুর বিষয় প্রকাশিত হয়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মধ্যে ২৮ দিনের কম বয়সী ৬৮ শিশুর মৃত্যু ঘটে। এদের মধ্যে ৫৪ টি শিশু তাদের জীবনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই মারা যায়। এখানে জন্মের সময় ১৩টি অক্সিজেন ঘাটতি সমস্যাসহ ১৩৪টি স্টিলবার্থের ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button