জরীপে প্রকাশ

লকডাউনের পর যুক্তরাজ্যের প্রতি ১০ দরিদ্র পরিবারের ৮ টির অবস্থা অধিক শোচনীয়

এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, লকডাউনের পর থেকে যুক্তরাজ্যের প্রতি ১০ টি দরিদ্র পরিবারের মধ্যে ৮ টি পরিবার অধিক খারাপ বোধ করছে। অর্থের অভাবে তারা সুষম খাবার গ্রহন করাতে পারছে না। অনেকে শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। চাইল্ড পোভার্টি অ্যাকশন গ্রুপ (সিপিএজি) এবং চার্চ অব ইংল্যান্ড (সিওই)- এর গবেষকরা অনেক পিতা-মাতার সাথে আলাপ করেছেন। তারা বলেন, তারা তাদের সন্তানদের জীবনমান রক্ষার্থে তাদের সম্পদ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন এবং দেখা যাচ্ছে যে, জরীপকৃত ৮০ শতাংশ পরিবার লকডাউন থেকে আর্থিক দিক দিয়ে খারাপ অবস্থায় পড়েছে বলে অনুভব করছে।

গত জুন মাসে রিজোলিউশন ফাউন্ডেশন জানায়, লকডাউনের সময় যখন অনেক পরিবার ক্রেডিট কার্ডের দিকে হাত বাড়ায়, তখন অনেক উচ্চ উপার্জনকারী গৃহস্থালী ব্যয় কমে যাওয়ায় অধিক সঞ্চয়ে সক্ষম হয়।
সিপিএজি এবং সিওই গবেষকরা দেখতে পান যে, অনেক স্বল্প আয়ের পরিবারের জন্য ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে, এদের অনেককে খাদ্য ও ইউটিলিটির জন্য আগের চেয়ে বেশী খরচ করতে হচ্ছে । ইতোমধ্যে অনেকে লকডাউনের সরাসরি কারনে চাকুরী হারিয়েছেন কিংবা শিশুসেবা হিসেবে সহায়তা হারিয়েছেন।
অ্যান মেরি নামক গবেষকের কাছে জনৈক মা বলেন, আমাদেরকে অনেক কিছু কর্তন করতে হয়েছে, আগে যে খাবার আমরা গ্রহন করতাম এখন তা পারছি না। আগে আমার সন্তানেরা যাতে সুষম খাবার পায় সে চেষ্টা করতাম। এখন যা পারছি, তা যোগাড় করছি, ফলমূল ইত্যাদির এতো দাম। এখন একজন শুধু তা-ই পাচ্ছে, যা কিনতে সে সক্ষম।
অপর একজন উত্তরদাতা বলেন, আমি অলংকারসহ জিনিসপত্র বিক্রির চেষ্টা করছি ছেলেমেয়েরা যাতে তাদের টিভি দেখতে পারে।
সিপিএজি বলেন, তারা এখন অনেক ছেলেমেয়েকে দেখেছে, যারা ইংল্যান্ডে ফ্রি স্কুল মিল পাওয়ার উপযুক্ত, কিন্তু তারা তা পাচ্ছে না। সংস্থাটি সকল ছেলেমেয়ের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ফ্রি স্কুল মিলের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে স্কীমটি বর্ধিত করার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে ইউনিভার্সেল ক্রেডিট কিংবা ওয়ার্কিং ট্যাক্স ক্রেডিট গ্রহন করে পরিবারগুলো তা পেতে পারে।
চ্যারিটি আরো বলে, মন্ত্রীদের উচিত চাইল্ড বেনিফিট বৃদ্ধি করে সপ্তাহে ১০ পাউন্ড করা এবং ইউনিভার্সেল ক্রেডিট ও চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিটসমূহের মধ্যে চাইল্ড ইলিমেন্টে অতিরিক্ত সাপ্তাহিক ১০ পাউন্ড যোগ করা। এছাড়া তাদের উচিত, বেনিফিটের সীমা দূরীকরণ কিংবা কমপক্ষে মহামারির সময় তা স্থগিতকরণ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button