ভুলের কথা স্বীকার

এনএইচএস’কে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ৩৭ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে হবে

ব্রিটেনের এনএইচএস’কে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া একটি শিশুর পিতা-মাতাকে ৩৭ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এটা ব্রিটেনের স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে অন্যতম বড়ো ম্যাটারনিটির অবহেলা সংক্রান্ত দাবি। আর এটা ঘটেছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালে। গাইজ এন্ড থমাসেজ এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট বালক শিশুটির সেবার ক্ষেত্রে তাদের ভুলের কথা স্বীকার করেছে। শিশুটি মারাত্মক পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছে এবং বাকী জীবন তাকের সার্বক্ষনিক সেবা যত্মের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে।

ক্ষতিপূরণ দাবিটি এনএইচএস- এর বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত দাবির মধ্যে সর্ববৃহৎ মনে করা হচ্ছে এবং ঘটনাটি অনেকগুলো সেবা সংক্রান্ত কেলেংকারির পর স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে ম্যাটারনিটি নিরাপত্তায় উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে। শ্রুসব্যারি ও টেলফোর্ড এনএইচএস ট্রাস্ট-এর ম্যাটারনিটির ব্যর্থতায় ডজন খানেক শিশু ও মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশী তদন্তে প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশ এখন এগুলোর ব্যাপারে অপরাধের অভিযোগ আনার বিষয়ে তদন্ত করছে।
ইতোমধ্যে ইষ্টকেন্ট এর ম্যাটারনিটি সার্ভিসে একটি তদন্ত সত্বেও এর ম্যাটারনিটি ইউনিটগুলোতে শিশু মৃত্যুর হার এখনো গড়পড়তার চেয়ে বেশী। ডজন খানেক মৃত্যুর ব্যাপারে একটি তদন্ত চলছে। ট্রাস্টে জন্মের সময় ১৩০ টিরও বেশী শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ার ঘটনার ঘটেছে। ক্যাম্পেইনাররা বলেন, এ ধরনের ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে, দেশব্যাপী ম্যাটারনিটি কেয়ার অর্থ্যাৎ মাতৃত্ব সেবার অবস্থা সম্পর্কে পার্লামেন্টারী পর্যায়ের একটি জরুরী তদন্ত আবশ্যক।
সেন্টারে আইনী কারনে নাম গোপনেচ্ছু যে বালকটির জন্য ৩৭ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরন গুনতে হবে, সে ২০১৩ সালে জন্মগ্রহন করে যখন এনএইচএস ট্রাস্ট এর ম্যাটারনিটি স্টাফরা এটা নির্ধারন করতে পারেননি যে, সে পেছনের দিকে অবস্থানে আছে- যার অর্থ পায়ের পাতা কিংবা পাছা অগ্রভাগে রয়েছে। লেবারের আগে তা বুঝা উচিত ছিলো। কিন্তু যখন যাত্রীরা তা বুঝতে পারেন তখন শিশুটির হৃদস্পন্দন হ্রাস পেতে শুরু করেরেছ, তার মাকে সার্জারীর জন্য একটি জরুরী সিজারিয়ান সেকশনে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয়।
জন্ম নিতে দেরী হওয়ার অর্থ হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে অক্সিজেনের অভাব এবং স্থায়ীভাবে মস্তিষ্কের ক্ষয়ক্ষতি। এভাবে সে জটিল পঙ্গুত্বের শিকার হয় এবং এখন দিনরাত তার জন্য দুইজন সেবাকারীর পরিচর্যার প্রয়োজন হচ্ছে। গাইজ এন্ড সেন্ট থমাজের এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট বলেছে, আমরা দুঃখিত যে, শিশুর জন্মের সময় পরিবারের প্রতি প্রদত্ত সেবায় ঘাটতি হয়েছে। যে মানের সেবা আমরা রোগীদের দিয়ে থাকি, তা থেকে কম দেয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি শনাক্ত করেছি এবং ডেলিভারীর জীবনব্যাপী পরিনতির দরুন গোটা পরিবারের জন্য আসলেই দুখিত। আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি, হাইকোর্ট কর্তৃক অনুমোদনের বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করবো, যাতে বার্ষিক পরিশোধ ও লাম্প সাম অর্থ প্রদানের বিষয়টি জড়িত। একটি ট্রাস্ট হিসেবে আমরা যে কোন প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা গ্রহন করি এবং সেগুলোকে আমাদের সেবার উন্নয়নে ব্যবহার করি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button