শামীমাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি দেয়ায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভেদের উদ্বেগ

সাবেক ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ শামীমা বেগমের যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার অনুমতি লাভ করায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন যে, শামীমা বেগম তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে লড়াই চালিয়ে যাবার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার অনুমতি লাভ করায় তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি ব্রিটিশ আদালতের বিচারকেরা শামীমাকে ব্রিটেনে ফিরে আসার অনুমতি দিয়েছেন।

২০ বছর বয়সী শামীমা বেগম ২০১৫ সালে সিরিয়ায় গিয়েছিলো তথাকথিত ইসলামিক স্টেট গ্রুপে যোগ দিতে। তখন সে ছিলো পূর্বলন্ডনের একটি স্কুলের ছাত্রী। পূর্বলন্ডনের আরো ২ জন স্কুল ছাত্রী সিরিয়ায় গিয়েছিলো। সিরিয়ার ক্যাম্পে গত বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে তাকে খুঁজে পাওয়ার পূর্বে শামীমা বেগম আইএস-এর অধীনে ৩ বছরেরও বেশী কাল বসবাস করেছে, তখন সে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে মিঃ সাজিদ জাভিদ পরের মাসে শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলেন। জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তিতে তিনি তা করেন।
অতঃপর শামীমা হোম অফিসের এ ধরনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, তার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তটি বেআইনী। কারণ, এটা তাকে রাষ্ট্রহীন করে দিয়েছে এবং তাকে মৃত্যু কিংবা অমানবিকতার এবং হীন আচরণের প্রকৃত ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।
আপীল আদালতের সিনিয়র বিচারকেরা ইতোমধ্যে এই মর্মে রুল প্রদান করেছেন যে, শামীমা বেগম তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যুক্তরাজ্যে ফিরে আসতে পারেন। মিঃ জাভিদ বলেন, তিনি আদালতকে শ্রদ্ধা করেন এবং মামলার ব্যাপারে তিনি কতটুকু বলবেন, তার মাত্রা তিনি রক্ষা করবেন। তবে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, মিস বেগমের মোকাবেলা করা যে কোন অধিকার ও স্বাধীনতার নিষেধাজ্ঞাগুলো, যা তিনি গ্রহণ করেছেন, তা সরকারের নির্দেশনা ও সাধারণ নৈতিকতার উভয় বিষয়েরই লংঘন। এটা আমার কাছে স্পষ্ট, কেনো বিদেশে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি আবেদন জানানো হয়নি।
তিনি এই মর্মে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন যে, এই মামলার বিধৃত রায়সমূহ ও নজিরগুলো অতীত ও ভবিষ্যতের মামলাসমূহ ব্যবস্থাপনায় সরকারের হাতগুলো বেঁধে ফেলতে পারে।
তিনি আরো বলেন, প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই যে, শামীমা ও অন্যান্য সন্ত্রাসীদের যুক্তরাজ্যে ফিরে আপীল করার অনুমতি একটি জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে যা পুরোপুরি নিরসন করা যাবে না, এমনকি তাৎপর্যপূর্ণ রিসোর্স বা সম্পদের বিকল্পায়নের দ্বারাও সম্ভব হবে না।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button