নতুন আইনে আইনজীবির সতর্কবানী

সামান্য অপরাধে ইইউ নাগরিকেরা যুক্তরাজ্য থেকে বহিষ্কৃত হবেন

ব্রিটেনের জনৈক নেতৃস্থানীয় আইনজীবি এই মর্মে সতর্কবাণী উচ্চারন করেছেন যে, অবস্থানের অনুমতি থাকা সত্বেও প্রীতি প্যাটেলের ব্রেক্সিট-পরবর্তী ইমিগ্রেশন অভিযানের ফলে সামান্য অপরাধে ইইউ নাগরিকেরা বহিষ্কার হতে পারেন। এই আইন অনুসারে বিদেশী অপরাধীদের বহিষ্কার করা যাবে যদি তারা যুক্তরাজ্যের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হন। বিদ্যমান পকেটমার ও শপ লিফটারদের দমনের জন্য এই আইনকে জোরদার করা হচ্ছে আগামী জানুয়ারী থেকে। লক্ষনীয় যে, ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষিত আইনের এই পরিবর্তন যুক্তরাজ্যে ৩০ লাখেরও বেশী ইইউ নাগরিকের প্রতি প্রযোজ্য হবে সেটেলড্ স্ট্যাটাসের প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায়।

জনৈক ইমিগ্রেশন ব্যারিস্টার কলিন ইয়ো এ ধরনের ক্র্যাক ডাউনকে বর্তমান আইনের একটি ‘বড়ো পরিবর্তন’ আখ্যায়িত করে বলেন, এজন্য একটি আনুপাতিক মূল্যায়ন আবশ্যক এবং এটা বহিষ্কারের সম্মুখীন ব্যক্তিদের জন্য একটি সাম্প্রতিক হুমকি।
তিনি আরো বলেন, হোম অফিস ইতোমধ্যে ইইউ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে আইনের অপব্যবহার ও আইন লংঘনপূর্বক অধিক হারে তাদের বহিষ্কার করছে। আমার মনে হয় ২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে বহিষ্কৃত ইইউ নাগরিকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, এসব বহিষ্কৃতদের মধ্যে যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহনকারী ইইউ নাগরিকও রয়েছেন- কিংবা এমন সব ছোট ছেলে মেয়ে রয়েছে যারা এখানে বড়ো হয়েছে তারা ব্রিটিশ নাগরিকত্ব না পেতে পারে, কারণ তাদের পিতামাতা এটা প্রমান করতে সক্ষম হবে না যে, এদের জন্মের সময় তারা এদেশে সেটেলড্ বা স্থায়ী ছিলো।
ইইউ নাগরিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা দ্যথ্রিমিলিয়ন গ্রুপ বলেছে, উক্ত পলিসি থেকে দেখা যায়, মিসেস প্যাটেল উইন্ডরাশ কেলেংকারীর পর্যালোচনা থেকে শিক্ষা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন, যদিও এর সুপারিশ বাস্তবায়নে তিনি সম্মত হয়েছিলেন।
সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা মেইক ভন বলেন, ইইউ নাগরিকেরা ২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে বিদ্যমান বৈরী সরকারের একটি অংশ হয়ে যাবে, যে দেখতে পাচ্ছে, পিতারা তাদের সন্তান ও পরিবার থেকে আলাদা হয়ে গেছে, সেদেশে ফিরে গেছে যে দেশকে তারা কেবল জানে।
তিনি আরো বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তিনি উইন্ডরাশ পর্যালোচনার সুপারিশ মালা বাস্তবায়ন করবেন। কিন্তু বাস্তবে এর কোন প্রমান মিলেনি।
ব্রেক্সিট- পরবর্তী অভিবাসন পরিকল্পনা অনুসারে, যারা ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যে ১২ মাস বা বেশী মেয়াদে কারাদন্ডিত তাদেরকে অবশ্যই বহিষ্কারের জন্য বিবেচনা করা হবে। এছাড়া এই কারাদন্ডাদেশ ছাড়াও ঐসব বিদেশী অপরাধীদের বহিষ্কারের জন্য বিবেচনা করা হবে যদি তাদের বহিষ্কার জনগনের জন্য কল্যাণকর হয় কিংবা তারা গুরুতর ও উপর্যুপরি অপরাধ সংঘটন করে থাকে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button