সামাজিক দূরত্বে গুরুত্বারোপ

ইংল্যান্ডে লকডাউন শিথিল, শুরু হয়েছে স্বাভাবিক জীবন

‘সঠিক পদক্ষেপ’ বলে সমর্থন করলেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইংল্যান্ডে শিথিল হয়েছে লক ডাউন, শুরু হয়েছে স্বাভাবিক জীবন, তবে সামাজিক দূরত্বের গুরুত্ব বেশি দেওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরস মহামারি মোকাবেলা করতে ব্রিটিশ সরকার সারা বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে মার্চের মাঝামাঝি থেকে ঘোষনা দেয় লকডাউনের। দীর্ঘ দিন পর সেই লকডাউন বা সরকারের স্টে হোম পলিসি ধাপে ধাপে শিথিল হতে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিককায় আজ পহেলা জুন থেকে প্রাইমারি স্কুলের দু তিনটি ক্লাস দিয়ে শুরু হয়েছে স্কুল ওপেনিং তবে বাধ্যবাধকতা নেই। ইচ্ছে করলে মা বাবা সন্তানকে স্কুলে নাও পাঠাতে পারেন। সন্তান তিন দুন স্কুলে না গেলে আগে জরিমানা গুনতে হতো এখন অবশ্য সেই জরিমানা গুনতে হবেনা, এটা জরিমানার আওতায় পড়বেনা।
জনসাধারণকে সতর্ক করে ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না হলে জরিমানা গুনতে হবে। সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। লকডাউন শিথিলের পর কী কী পরিবর্তন হচ্ছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে। যদি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যায়, তাহলে ফের লকডাউন কঠোর করা হবে।

প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারবেন জানিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি ঠিক থাকলে শুধু রিসিভশন, ইয়ার ওয়ান এবং ইয়ার সিক্স খোলা হবে। সোমবার থেকে ছয়জন লোক একসঙ্গে বাইরে দেখা করতে পারবে, অভিজাত প্রতিযোগিতামূলক খেলাটি দর্শকদের ছাড়াই আবার শুরু করতে পারে এবং আটকে রাখা দুই মিলিয়নেরও বেশি লোককে বাইরে সময় কাটাতে দেয়া হবে। এ ছাড়া রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, দোকানপাটসহ অন্যান্য সেক্টর জুলাই মাসের প্রথম থেকে খোলা শুরু হতে পারে, অবশ্য স্কুল খুলবে এর আগেই কিছুটা শিথিল করে বিভিন্ন বন্ধ পার্ক গুলি খুলে দেয়া হয়েছে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে।
এদিকে, লকডাউন ধাপে ধাপে সহজ করায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদক্ষেপকে সঠিক বললেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বলেছেন, বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দিয়ে ব্রিটিশ সরকার ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিলের দিকে এগোচ্ছে। মহামারির প্রভাবে চরম বিপর্যস্ত ব্রিটেনের অর্থনীতিকে সচল করতে, বড় ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।
আবাসনমন্ত্রী রবার্ট জেনরিক বলেছেন, সরকার আত্মবিশ্বাসী কারন এতে সংক্রমণের হারকে বাড়িয়ে তুলবে না। চলমান লকডাউন নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে সমন্বয় করে আগামী কয়েক সপ্তাহ খুব গভীর পর্যবেক্ষণ করবে সরকার।
ইংল্যান্ডের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার জেনি হ্যারি জনগণকে কড়া পাহারায় রাখার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button