ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভাষনের কঠোর সমালোচনায় লেবার নেতা

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষনের কঠোর সমালোচনা করেছেন লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টার্মার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষন অনেক প্রশ্ন ও জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষন স্পষ্ট নয় এবং এতে ঐকমত্যের অভাবও বিদ্যমান। কোন স্পষ্ট দিক নির্দেশনা ছাড়াই তিনি লাখ লাখ মানুষকে কার্যত: আগামী কাল থেকে কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী ভাইরাসের বিস্তার রোধে জীবনযাপনের নিয়মে বেশ কিছু পরিবর্তন সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় দফা হুমকির ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান। লোকজন যতোক্ষন এবং যখন চাইবেন বাইরে যেতে পারবেন এবং নির্মাণ ও প্রস্তুতকারক ইন্ডাষ্ট্রির শ্রমিকদেরকে তাদের কর্মস্থলে ফেরার ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করা হবে।
কিন্তু অত:পর স্যার কেইর বলেন, দেশ আজ রাতে যা চাইছে, তা হচ্ছে স্পষ্টতা এবং ঐকমত্য, এবং আমার মনে হচ্ছে এর কোনটাই আমরা পাইনি। এই বক্তব্য অনেক প্রশ্ন ও জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের ভবিষ্যতকে নানা দিকে ফেলে দেয়া হয়েছে। এটা একটি বড়ো শূন্যতা, যা সরকারের পূরণ করা দরকার।
স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের নেতারা ‘ঘরে অবস্থানে’র বার্তার পক্ষে অনড় অথচ প্রধানমন্ত্রী এখন ইংল্যান্ড থেকে সরে গেছেন। এর আগে স্যার কেইর করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে দলীয় বিষয় আনবেন না বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। তিনি বলেন, সরকারের সর্বশেষ কৌশল রাজনৈতিক ঐকমত্য ভিত্তিক নয়। আমি যা চেয়েছিলাম তা আমি গত সপ্তাহে উপস্থাপন করি। আজ সন্ধ্যায় আপনি যে পরিকল্পনা উপস্হাপন করেছেন তা করার আগে এ ব্যাপারে একটি ঐকমত্য গড়ার জন্য আমি বলেছিলাম।
তিনি আরো বলেন, কারন আমি মনে করি পরবর্তী সময়ে কী ঘটবে এ ব্যাপারে জনগন অত্যন্ত ভীত এবং উদ্বিগ্ন। তারা পুনঃনিশ্চিত হতে চায়। যদি তারা দেখতে পেতো রাজনৈতিক দলগুলো নিয়োগ দাতারা, ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড সবাই বিস্তৃতভাবে একই পৃষ্ঠায় তা পুনরায় নিশ্চিত করন ও আত্মবিশ্বাসের সাথে সহায়তা করতো।
মিঃ জনসন বলেন, সমাজকে উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য তিনি একটি রোড ম্যাপের প্রথম নকশা প্রদান করেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং যুক্তরাজ্যের চারটি জাতির সাথে পরামর্শ করেছেন। এ ব্যাপারে আগামীকাল পার্লামেন্টে অধিকতর বিবরন প্রদান করবেন।
তিনি বলেন, যদিও জবাবের ক্ষেত্রে আমাদের নমনীয় হওয়া সঠিক, আমি মনে করি যে,স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই মহামারিকে পরাভূত করতে একটি জোরালো প্রতিজ্ঞা প্রয়োজন। এবং আজ একটি সাধারন ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা তা করতে পারতাম।
যা-ই হোক, ব্রিটিশ চেম্বার্স অব কমার্সসহ ব্যবসায়ী নেতারা অধিকতর স্পষ্টতা আহবান জানিয়ে বলেন, পিপিই, দূরত্ব বজায় রাখা এবং সরকারী সহায়তা স্কীমসমূহ ছিলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জনগনের যথেষ্ট পিপিই প্রাপ্তি, যা তাদের জন্য মিঃ জনসনের পাঁচটি পরীক্ষার একটির জন্য আবশ্যক, তা লক ডাউন শিথিলের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজন হবে।
অত্যন্ত দ্রুত পরিকল্পনাটি করে ফেলা হয়েছে।জিএমবি বলেন, শ্রমিকদের জন্য স্বাস্হ্য রক্ষা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়ে কঠোর নীতিমালা এবং পর্যাপ্ত পিপিই প্রয়োজন।
শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্বকারী ‘দ্য ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়ন’ বলেছে, সংক্রমনের এই হারের মধ্যে স্কুলসমূহ খুলে দেয়া ‘বেপরোয়া পদক্ষেপের চেয়ে কম কিছু নয়’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১ লা জুন থেকে দফায় দফায় দোকানপাট খুলে দেয়া হবে এবং ধাপে ধাপে প্রাইমারী শিক্ষার্থীরা স্কুলে ফিরে যেতে শুরু করতে পারে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button