ব্রিটেনে পারিবারিক সহিংসতার শিকার লোকজনের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিক ৭৬ মিলিয়ন পাউন্ডের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষনা

পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাসস্হানের ক্ষেত্রে ৭৬ মিলিয়ন পাউন্ডের প্যাকেজ সহায়তা দেয়া হবে। ব্রিটিশ গৃহসংস্হান কমিউনিটি ও স্হানীয় সরকার বিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক গত শনিবার ডাউনিং স্ট্রিটে প্রাত্যহিক করোনাভাইরাস সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংকালে এ ঘোষনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, মহামারীর সময়ে সমাজের সবচেয়ে অরক্ষিতদের ৭৬ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি প্যাকেজ সহায়তা দেয়া হবে। এটা পারিবারিক সহিংসতার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজনের জন্য অধিকতর হাউজিং সহায়তা এবং পারিবারিক সহিংসতার শিকারদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা সেবার কাজে ব্যবহৃত হবে।

তিনি আরো বলেন, এই প্যাকেজ সহায়তা পারিবারিক ও যৌন নিপীড়নের শিকার এবং আধুনিক দাসত্বের শিকার ব্যক্তিদের সহায়তার ক্ষেত্রে দাতব্য সংস্হাগুলোকেও সাহায্য করবে। মিঃ জেনরিক আরো বলেন,পারিবারিক সহিংসতা ও যৌন নিপীড়ন ‘মানসিক ক্ষতের’ কারণ হয়ে দাঁড়ায় ,যেগুলোর কিছু কিছু কখনো সারে না।
তিনি বলেন: পারিবারিক নির্যাতনের শিকারদের বিষয়ে বলা যায়, তারা একটি দুঃস্বপ্নের মধ্যে আটকা পড়ে যায়। পারিবারিক নির্যাতনের অপকর্মের মধ্যে যে শিশুরাও অন্তর্ভুক্ত, বাড়িতে তারা সবচেয়ে নিরাপদ বোধ করার কথা সেখানেই তাদের ভীতির মধ্যে বাস করতে হয়। দেশব্যাপী অনেক বাড়িতে আসলে কী ঘটছে সে বিষয়ে অবশ্যই আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।আমরা চাই ঐসব নারী ও শিশুর অধিকার রক্ষা করতে এবং সেই কাজটিই আমরা করতে যাচ্ছি।
যুক্তরাজ্য সরকার প্রকাশ করেছে কীভাবে দেশব্যাপী আরো ৬২১ ব্যক্তি মারা গেছে। শুক্রবার বিকেল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮১৩১ জন ,এর আগের দিন পর্যন্ত সেই সংখ্যা ছিলো ২৭৫১০ জন। অর্থাৎ, শুক্রবার ৬২১ জনের মৃত্যু ঘটে।
স্বাস্হ্য বিভাগ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
সর্বশেষ সংখ্যাটিতে হাসপাতাল, কেয়ার হোমও ব্যাপক কমিউনিটিতে মৃত্যুর সংখ্যাও অন্তর্ভুক্ত। অন্যান্য বিষয় হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগামী বৃহস্পতিবার দেশকে লকডাউনমুক্ত করার বিষয়ে পরিকল্পনাসমূহ উপস্থাপন করবেন।
বিস্তারিত পরিকল্পনায় রয়েছে অফিস, ফ্যাক্টরী ও কিছু দোকানকে আড়াই সপ্তাহের মধ্যে নতুন সরকারী সামাজিক দূরত্ব, যেমন ডেস্কসমূহের মধ্যে পারসপ্লেক্স স্ক্রিন(পর্দা) ও গ্যাপ ব্যবস্হা, স্হাপন করতে দেওয়া হবে।
নতুন ট্রাক এন্ড ট্রেস কর্মসূচীতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ সনাক্তকরণ ও আক্রান্তদের বিচ্ছিন্ন করণ অব্যাহত থাকবে এবং ভাইরাসের পুনরায় বিস্তার রোধে অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্হাও থাকবে। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কপিকৃত ১৮০০০ ট্র্যাকার ফোর্সের শুরুর তারিখ দেয়া হয়েছে ১৮ মে।
চীফ মেডিকেল অফিসার ক্রিস হুইট্টি বলেন, কিছু জায়গায় এক ধরনের লকডাউন দীর্ঘদিন ধরে থাকবে এটা নিশ্চিত করতে যে, সংক্রমণের হার বাড়বে না এবং ভাইরাস আবার দ্রুত ছড়াতে শুরু করবে না।
মিঃ হুইট্টি আরো বলেন, এটা মনে করা সম্পূর্ণ অবাস্তব যে, যুক্তরাজ্য খুব শীঘ্রই একটি স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফিরে যেতে পারবে। একটি ধারাবাহিক ব্যবস্হা থাকবে এবং মন্ত্রীরা একটি নতুন স্বাভাবিকতায় ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টায় একটি মিশ্র পদক্ষেপসমূহ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবেন। লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় হচ্ছে করোনা প্রতিরোধে একটি ভ্যাকসিন কিংবা ওষুধ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button