করোনা মোকাবেলায় কর্মরত অভিবাসী ডাক্তার ও নার্সদেরকে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দেয়ার পক্ষে এমপি

হোম অফিসের ভিসা নীতির গ্যাড়াকলে চিকিৎসক ও নার্স

সংকট মোকাবেলায় অভিবাসী ও শরনার্থী চিকিৎসকদেরকে হাসাপাতালে কাজের সুযোগ

এমএফএ জামান: প্রায় এক দশক যাবৎ ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনইচএস) চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্টাফ সংকটে ভুগছে। আর এই সংকটের প্রভাব দেশ ও জাতিকে কতটুকু ভোগাচ্ছে, এই করোনা দুর্যোগে সবার কাছে প্রতিয়মান। প্রতিদিন টিভি কিংবা পত্রিকার পাতা খুললেই আমাদের চোখ পড়ে হাসপাতালে রোগীদের সেবার সংকটকালীন বিভিন্ন খবর। এর পিছনের মূল কারণটা হলো এই প্রতিদিন হাজার হাজার করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ঢ়ল সামাল দেবার মতো পর্যাপ্ত লোকবল নেই। যদিও অনেকে অবসর থেকে ফিরে হাসপাতালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত। কিন্তু এরপরও এনএইচএসের নাভিশ্বাস উঠার উপক্রম প্রায়। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় অভিবাসী এবং শরনার্থী চিকিৎসকদেরকে হাসাপাতালে কাজ করার দরজাটা খুলে দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

একটি বিরাট সংখ্যার চিকিৎসক আর নার্স সংকটের কারণে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনইচএস) বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চিকিৎসক, নার্সদের ইংল্যান্ডের হাসাপাতালে কাজের জন্য নিয়োগ দেয়। ইউকে পার্লামেন্টের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের প্রায় ১২% লোক কাজ করেন যাদের জাতীয়তা ব্রিটিশ নয়। ২০১৫-১৬ সালে ইউরোপের ১৯% নাগরিক এনএইচএসে নার্স হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু ২০১৭-১৮ সালে এর পরিমাণ প্রায় ৭.৯% কমে যায়। ইউরোপের বাইরে সবচেয়ে বেশি ফিলিপিন এবং ভারতীয় নাগরিকরা নার্স হিসেবে কাজ করেন। প্রায় ১০,৭১৯ হাজার ফিলিপিনীয় নাগরিক ছাড়া ৬,৬৫৬ হাজার ভারতীয়, ৩,১৯০ হাজার পর্তুগীজ এবং ২,৪৫০ হাজার জিম্বাবুয়ের নাগরিক এই দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নার্সের দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া চিকিৎসক হিসেবে ইউরোপের পর সবচেয়ে বেশি ভারতীয় নাগরিকরা এনএইচএসে কাজ করেন। এদের মধ্যে ১২,৬১০ জন চিকিৎসক হলেন ভারতীয়। এছাড়া পাকিস্তানী ৪,৫৬৯, মিশরী ২,১০৪ এবং নাইজেরিয়ান ১,৯০৩ হাজার চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন।
এই সব বিদেশী নাগরিকদের ব্রিটেনে কাজ করার পাশাপাশি ভিসা সংক্রান্ত অনেক জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। বছর তিনেক পর পর ভিসার মেয়াদ বাড়াতে গিয়ে অনেক টাকা আর সময় ব্যয় করতে হয়। এর ফলে তাদের উপর মানষিক এবং স্নায়ুবিক চাপটা অনেক বেড়ে যায়। কারণ একদিকে কাজের চাপ আর অন্যদিকে ভিসা অফিসের বাহারি আইনের দৌড়।
অতীতে এনএইচএসের অনেক ডাক্তার, নার্স সরকারের কঠিন ভিসা নীতির গ্যাড়াকলে পড়ে ইংল্যান্ড ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু হোম অফিসের এই নীতি অব্যাহত থাকার ফলে আর নতুন কোনো অভিবাসী ডাক্তার, নার্স ইংল্যান্ডে আসতে অনীহ প্রকাশ করছেন। কারণ তাদেরকে পর্যাপ্ত বেতন-ভাতা প্রদান করা হয় না বরং কয়েক বছরের পর ভিসা বাড়ানোর সমস্যা মোকাবেলা করতে হয় এবং কোনো সময় যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই এই দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে; যা সত্যিই অপ্রত্যাশিত।

ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনইচএস) এ প্রায় ৪০,০০০ হাজার নার্সের ঘাটতি রয়েছে। এই সমস্যা শীঘ্রই সমাধান করা সম্ভব নয়। এই সীমিত সংখ্যক নার্সদের নিয়ে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা সত্যিই অসম্ভব এবং কষ্টকর।

২৭ বছর বয়স্ক তাইওয়ান বংশদ্ভোত ডা: মু-চুন-চিয়াঙ যিনি বিগত ১৮ বছর ধরে ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডে চিকিৎসা বিষয়ে পড়াশুনা এবং চিকিৎসক হিসেবে কাজ করে আসছেন। কিন্তু ভিসা আবেদনপত্রে সামান্য ভুল হওয়ার কারণে তার ভিসা বাতিল করে ১৪ দিনের মধ্যে দেশ ত্যাগের নোটিশ দেয়া হয়েছে। ডা: চিয়াঙ গার্ডিয়ান পাত্রিকাকে বলেন, আমি সত্যিই হতবাক এবং বিধ্বস্ত হোম অফিসের এই অযাচিত সিদ্ধান্তে। আমার মনে হচ্ছে, তারা যেন আমাকে এই দেশ থেকে বের করে দিতে অতি উৎসাহী। এভাবে একজন চিকিৎসককে লাথি মেরে ফেলে দেয়াটা সত্যিই দুঃখজনক। আমি ইংল্যান্ডে থাকতে চাই কারণ এনএইচএসে একজন ডাক্তার হিসেবে মানুষের সেবা করতে আমি সত্যিই উপভোগ করি।
এই মুহুর্তে ইংল্যান্ডের হাসপাতালগুলোতে প্রায় ১০,০০০ হাজার ডাক্তারের সংকট; ডা: চিয়াঙের ভিসা বাতিলের কাহিনী কিন্তু নতুন নয়; অতীতে তার মতো অনেক অভিবাসী চিকিৎসক এবং নার্সদের জীবনে এই দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে। এই অপ্রত্যাশিত এবং হতাশাজনক ঘটনাগুলো আজ জাতিকে বেশ সংকিত করে তুলেছে। তাই লেবার পার্টির শ্যাডো জাস্টিস সেক্রেটারী ডেভিড ল্যামি এমপি এবং লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টির এমপি ক্রিশ্চিয়ান জার্ডিনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৬০ জন সাংসদ বর্তমানে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে কর্মরত অভিবাসী ডাক্তার, নার্স এবং কর্মকর্তাদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তারা বলেন, আজ এই করোনা মহামারীতে দেশের হাসপাতালগুলো যখন জনগণের জীবন বাচাঁতে হিমশিম খাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে এই অভিবাসী ডাক্তার, নার্সরা তাদের জীবন বাজি রেখে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। তারা যেন যুদ্ধের ময়দানে বুক চিতিয়ে করোনা মোকাবেলায় লড়াই করে যাচ্ছেন যখন আমরা পরিবার নিয়ে ঘরে অবস্থান করছি। তাই কৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে আমাদের উচিত তাদেরকে নাগরিকত্ব প্রদান করে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা।
করোনা মোকাবেলায় কর্মরত অভিবাসী চিকিৎসক এবং নার্স যাদের ভিসার সময় শীঘ্রই শেষ হতে চলছে; তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো জন্য হোম অফিস বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বিরোধী দল লেবার পার্টির টোটিং আসনের এমপি এবং শ্যাডো মানষিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোজীনা এলিন খান যিনি একজন সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরও খন্ডকালীন চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন। করোনা মহামারী মোকাবেলায় এখন তিনি দিনের পুরোটা সময় রোগীদের সেবায় হাসপাতালে কাজ করছেন। এমপি রোজীনা বলেন, বর্তমান কনজারভেটিভ সরকারের আমল থেকেই এনএইচএসের বাজেটের বরাদ্ধ অর্থের পরিমাণকে এতই সীমিত করা হয়েছে যার প্রভাব এই করোনা মহামারীতে চোখে পড়ার মতো। আমাদের প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী নেই। এছাড়া করোনা রোগ মোকাবেলায় প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামও নেই। রোগীদের পাশাপাশি হাসাপাতালের কর্মকর্তা, ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জীবনটাকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। এতকিছুর পরও মৃত্যুকে সামনে রেখে আমাদের চিকিৎসক -নার্সরা মানুষের জীবন রক্ষায় হাসপাতালে দিনরাত কাজ করছেন।

বর্তমানে এই দেশে একটি বিরাট সংখ্যক অভিবাসী এবং শরনার্থী রয়েছেন যারা একদা পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু ভিসা জটিলতা এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তারা এই মানবিক পেশার সাথে যুক্ত হতে পারছেন না। তাই কেউ কেউ বাধ্য হয়ে অন্যান্য পেশা যেমন রেষ্টুরেন্ট, ট্যাক্সি ইত্যাদি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কিন্তু করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ব্রিটিশ সরকার এসব শরনার্থী সহ অভিবাসী চিকিৎসকদের স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে কাজের সুযোগ দেয়ার ব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর প্রাথমিক পর্যায়ে মেডিক্যালের ইংরেজি ভাষার পরীক্ষায় যারা উর্ত্তীণ হয়েছেন তাদের চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে নিয়োগের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এর আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে করোনা ভাইরাস বিল নিয়ে আলোচনাকালে অভিবাসী এবং শরনার্থী চিকিৎসকদের কাজের অনুমতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। এসময় লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টির ভারপ্রাপ্ত সহকারী নেতা স্যার এ্যাড ডেভি সরকারকে এই বিষয়ে অতি দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, আমি মনে করি এইসব চিকিৎসকদের এই সংকটকালীন মুহুর্তে সেবা দেয়ার যোগ্যতা রয়েছে। শরনার্থীদের কাজ করতে না দেয়াটা খুবই দুঃখজনক। আর তারা যদি চিকিৎসক হয় তাহলে কেন তাদেরকে এগিয়ে যাবার সুযোগ দিবেন না?
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, আমি শীঘ্রই এই বিষয়টি নিয়ে এনএইচএসের সাথে আলোচনা করবো। এই করোনা সংকটকালীন সময়ে আমরা অভিবাসী এবং শরনার্থী চিকিৎসকদের নিয়ে কিভাবে কাজ করতে পারি তার একটি পথ বের করার চেষ্টা করবো।
এই বিষয়ে একজন সরকারী মুখপাত্র বলেন, করোনা মহামারী মোকাবেলায় চিকিৎসকদের অবদান অনস্বীকার্য। আর এই প্রক্রিয়াকে কিভাবে আরো সহজ এবং গতিময় করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
আফগান শরনার্থী ডা মোহাম্মদ হাকমাল যিনি একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি বলেন, মানবতার সেবায় একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার অনেক কিছু দেয়ার আছে বিশেষত এই করোনা মহামারীর সময়ে। এদেশে ডাক্তার হিসেবে কাজের অনুমতি লাভের প্রক্রিয়াটি খুবই দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল, যা আমার পক্ষে চালিয়ে নেয়াটা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তাই আমি মেডিক্যাল রিসার্চে কাজ করছি। আমার মতো অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ব্রিটেনে রয়েছেন যারা এই দীর্ঘসুত্রিতার কারণে ডাক্তারী পেশায় যোগ দিতে না পেরে, জীবিকা নির্বাহের জন্য টেক্সি চালাচ্ছেন কিংবা বিভিন্ন দোকানে কাজ করছেন।
রিফু এইডের কর্মকর্তা আনা জোনস বলেন, ইংল্যান্ডে আমরা শরনার্থী চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কর্মসংস্থানে সাহায্য করি। এই মুহুর্তে আমাদের তালিকায় প্রায় ২৩০ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা এবং প্লাব ১, প্লাব ২ এর যোগ্যতা অর্জন করতে তাদের ১২ থেতে ১৮ মাস সময় প্রয়োজন। করোনা মহামারীতে এনএইচএসের প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১০০ শরনার্থী সহকারী চিকিৎসকের পদের জন্য আবেদন করেছেন। আমরা এই পদক্ষেপ স্বাগত জানাই। তবে এটি শুধূ তাদেরকে মেডিকেলের পরিবেশে কাজ করার সুযোগ দেয় কিন্তু একজন পূর্ণ চিকিৎসক হিসেবে কাজের অনুমতি দেয় না। আমরা বিনীতভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এর কাছে অনুরোধ জানাই তাদেরকে পূর্ণ চিকিৎসক হিসেবে কাজ সুযোগ করে দেয়া।

এমপি নাদিয়া বলেন, কনজারভেটিভ সরকারের বাজেট সংকোচনের কারণে আমাদের হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার এবং নার্সের অভাব চোখে পড়ার মতো। এই মহামারী করোনা মোকাবেলায় আমাদের হাসপাতাল, কেয়ার হোমগুলোকে বেগ পেতে হচ্ছে। এতকিছুর পরও সেই ডাক্তার এবং নার্সরা এখন পর্যন্ত মানুষের জীবন রক্ষায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

হুসাম-আলহামহাম যিনি সিরীয়ায় হাসপাতালে একজন সার্জন হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং ব্রিটেনে গত ৪ বছর ধরে বসবাস করছেন। সম্প্রতি করোনা মহামারী সংকটে তিনি এবং তার ভাই ডাঃ মোহাম্মদ চাদী এনএইচএসের সহকারী চিকিৎসকের পদের জন্য আবেদন করেছেন। আলহামহাম বলেন, আমার কাছে ডাক্তারী পেশার মূল উদ্দেশ্য হলো, নিজের সবকিছূ দিয়ে মানুষের প্রাণ রক্ষা করা। সিরীয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে যখন আমি কাজ করেছি তখন চারিদিকে ‍শুধু আহত ব্যক্তির আহাজারী আর নিহত ব্যক্তি নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। আমাদের নিকট পর্যাপ্ত ঔষধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ছিলো না। কিন্তু এতকিছুর পরও আমরা চিকিৎসা সেবা বন্ধ করিনি।
রয়েল কলেজ অব নার্সিং এর প্রধান পরিচালক ডেমি ডোনা কিনায়ার বলেন, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনইচএস) এ প্রায় ৪০,০০০ হাজার নার্সের ঘাটতি রয়েছে। এই সমস্যা শীঘ্রই সমাধান করা সম্ভব নয়। এই সীমিত সংখ্যক নার্সদের নিয়ে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা সত্যিই অসম্ভব এবং কষ্টকর। আর আর্থিক সংকট এবং অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে অধিকাংশ নার্স কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করছে। তাই সরকারকে এই বিষয়ে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বিরোধী দল লেবার পার্টির নটিংহাম ইস্ট আসনের এমপি নাদিয়া ইদিথ হোয়াটমো যিনি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ‍শুরুর সাথে সাথেই একজন স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন। এমপি নাদিয়া বলেন, কনজারভেটিভ সরকারের বাজেট সংকোচনের কারণে আমাদের হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার এবং নার্সের অভাব চোখে পড়ার মতো। এই মহামারী করোনা মোকাবেলায় আমাদের হাসপাতাল, কেয়ার হোমগুলোকে বেগ পেতে হচ্ছে। এতকিছুর পরও সেই ডাক্তার এবং নার্সরা এখন পর্যন্ত মানুষের জীবন রক্ষায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button