বরিস জনসনের ইইউ মানবাধিকার আইন প্রত্যাখ্যানের উদ্যোগ

ব্রিটিশ সরকার ইউরোপীয় মানবাধিকার আইনের প্রতি সংগতিপূর্ণ থাকার জন্য একটি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি অনেককে ক্ষুব্ধ করেছে। ইউরোপীয় প্রতিবেশীরা ব্রিটেনকে ইউরোপিয়ান কনভেনশন অব হিউম্যান রাইটস (ইসিএইচআর)-এ স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে থেকে যাওয়ার জন্য অনুরোধের প্রত্যাশা করছে কিন্তু ব্রিটেন নিজেকে আইনত: সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকার দাবি করবে বলে ঠিক করেছে।
এর ফলে ব্রিটেন পরবর্তী কালে হিউম্যান রাইটস অ্যাক্ট অর্থাৎ মানবাধিকার আইন বাতিলের পদক্ষেপ নিতে পারবে। ইইউ-এর উন্মুক্ত অবস্থান থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, এটা আপনাআপনি অপরাধমূলক বিষয়ে সকল আইন প্রয়োগের সহায়তা ও বিচারিক সহায়তার অবসান ঘটাবে, যদি যুক্তরাজ্য ইসিএইচআর পরিত্যাগ করে।

বরিস জনসনের রক্ষণশীল দল আইনটির ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করে আসছে, ইতোপূর্বে তারা এটা বাতিলের হুমকি ও দিয়েছে। দলের ইশতেহারে বলা হয়েছে: ব্রেক্সিটের পরে আমাদেরকে আমাদের সংবিধানের বিস্তৃত দিকসমূহ, সরকার, পার্লামেন্ট ও আদালতগুলোর মধ্যে সম্পর্ক, রাজকীয় অগ্রাধিকার সমূহের কার্যকারিতা, লর্ড হাউসের ভূমিকা এবং সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচার লাভের বিষয়সমূহের প্রতি দৃষ্টি দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

মানবাধিকারের ক্ষেত্রে ব্রিটেনের অগ্রণী হওয়া উচিত, মানবাধিকার বর্জনকারী নয় এবং এ সাথে আমাদের বৈশ্বিক সুনামের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমরা ইউরোপীয় কনভেশন ও আদালতসমূহ গঠনে সহায়তা করেছি। এক্ষেত্রে চার্চিলের ভূমিকা ছিলো প্রধান।

এতে আরো বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ও সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে সুরক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের নিরাপত্তা সার্ভিসসমূহের ক্ষমতার বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। আমরা মানবাধিকার আইন ও প্রশাসনিক আইন হালনাগাদ করবো এটা নিশ্চিত করতে যে, ব্রিটেনে ব্যক্তির অধিকার, আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা এবং কার্যকর সরকারের মধ্যে একটি যথাযথ ভারসাম্য বিদ্যমান। এতে আরো দাবি করা হয় যে, ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেন অব্যাহতভাবে একটি বহির্মুখী দৃষ্টিভঙ্গসম্পন্ন দেশ হিসেবে থাকবে যা হবে মানবাধিকারের একটি ‘চ্যাম্পিয়ন’ দেশ (এবং বাতিঘর)।
এ প্রসঙ্গে লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা এড ডেভী টুইট বার্তায় বলেন, মানবাধিকারের ক্ষেত্রে ব্রিটেনের অগ্রণী হওয়া উচিত, মানবাধিকার বর্জনকারী নয় এবং এ সাথে আমাদের বৈশ্বিক সুনামের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমরা ইউরোপীয় কনভেশন ও আদালতসমূহ গঠনে সহায়তা করেছি। এক্ষেত্রে চার্চিলের ভূমিকা ছিলো প্রধান।
লেবার পার্টির সাবেক নেতা ও দলের এমইপি সেব ড্যান্স বলেন, ইউরোপিয়ান কনভেনশন অব হিউম্যান রাইটস ইইউ সৃষ্টিরও আগের বিষয়। এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার পর সৃষ্টি হয়। ব্রিটিশ মানবাধিকার আইনজীবীরা এর খসড়া প্রণয়ন করেন- যারা ছিলেন মাঠের নেতা। আজকের রক্ষণশীল দলটি হচ্ছে জাতীয়তাবাদী, আঞ্চলিকতাবাদী ও নার্সিসিস্টদের (আত্মমুগ্ধ) নিন্দনীয় মিশ্রন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button