ইইউ’র জরুরি বৈঠক

শরণার্থী নিয়ে তুরস্কের চাপে ইউরোপ

সিরিয়া ইস্যুতে শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত গেট খুলে দেওয়ায় বেশ চাপেই রয়েছে ইউরোপ। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান তার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় দেশটির সীমন্ত দরজা খুলে দিয়েছেন। যার ফলে অন্তত ২০ হাজারেরও বেশি শরণার্থী ইউরোপে প্রবেশের জন্য গ্রিস সীমান্তে জড়ো হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইউরোপে প্রবেশের জন্য হাজার হাজার শরণার্থী তুরস্কের গ্রীস সীমান্তে শিবির স্থাপন করেছে। যার ফলে এই সীমান্তে ব্যাপক জনসংযোগ ঘটেছে। শরণার্থীরা স্থলসীমান্ত ছাড়াও গ্রিসের তিনটি দ্বীপে নৌকায় করে এসে জড়ো হচ্ছেন।

বিশ্ব গণমাধ্যম বলছে, মধ্য প্রাচ্য থেকে শরণার্থী প্রবাহ থামিয়ে দিতে ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল তা ভঙ্গ করায় এই চাপের মুখে পড়ছে ইউরোপ। ২০১৬ সালে ইউরোপমুখী শরণার্থীর ঢল নামার পর তাদের আটকাতে তুরস্কের সঙ্গে চুক্তিটি করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওই চুক্তির আওতায় তুরস্ক সিরিয়া ও আফগানসহ অন্যান্য দেশের প্রায় ৩৭ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, কত লোক ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওয়া দিয়েছেন তার হিসেব বের করা কঠিন। তবে এরদোগানের দাবি, এ সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ হাজার শরণার্থী হবে। তিনি আরও বলেছেন, এ সংখ্যা যত বেশি হোক না কেন, তুরস্ক তাদের দরজা বন্ধ করবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের ওয়াদাও পালন করবে। তবে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের আর সামলাতে পারবে না তার দেশ বলে জানিয়ে দিয়েছেন। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রোববার গ্রিসের পুলিশ সীমান্তে শরণার্থীদের উপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এ সময় হাজার হাজার শরণার্থী পাথর ছুড়তে শুরু করলে সেখানে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।

এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ অভিবাসন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের এক জরুরি বৈঠক ডেকেছে। ইইউ-র বহির্সীমানার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্স গ্রিসকে বাড়তি সাহায্যের উদ্যোগ নিচ্ছে। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তুরস্কের সঙ্গে স্থলসীমান্ত থাকায় সেই দেশটিও চাপের মুখে পড়েছে। ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল রবিবার বলেন, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ইদলিবের আশেপাশে সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক কাঠামোর জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। গোটা অঞ্চল ও তার আশেপাশের এলাকায় মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বোরেল এ প্রসঙ্গে ইইউ ও তুরস্কের মধ্যে চুক্তি মেনে চলার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি সিরিয়ায় য্দ্ধুবিরতি ও সংঘর্ষ বন্ধের ডাক দিয়েছেন। তিনি ইইউর পক্ষ থেকে বর্তমান সংকট প্রশমনে সহায়তার প্রস্তাবও দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button