শান্তি চুক্তিকে সাধুবাধ জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা

যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান শান্তিচুক্তি, ব্রিটেনের অভিনন্দন

কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটাতে আফগান নেতাদের সুযোগ নেওয়ার আহ্বান

দীর্ঘ ১৮ বছরের আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে কাতারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সাথে যৌথ ঘোষণাপত্র, এবং তালেবানদের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র’র ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, যা একটি অর্থবহ শান্তি প্রক্রিয়া এবং আফগানিস্তানে কয়েক দশকের দ্বন্দ্বের অবসানের পথ তৈরি করেছে। যুক্তরাজ্য এবং জোট বাহিনীর প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ, আফগানিস্তান আর আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল নয় এবং ব্রিটেনের রাস্তাগুলি নিরাপদ। তবে সমস্ত পক্ষই স্বীকার করে যে কেবল একটি রাজনৈতিক সমাধানই স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে এবং আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
যুক্তরাজ্য তালেবানদের এখনই অর্থবহ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনায় আফগান নেতাদের সাথে জড়িত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। আফগানিস্তানে তার প্রতিশ্রুতি প্রদান অব্যাহত রেখে ন্যাটো’র রেজলিউট সাপোর্ট মিশন সামান্য প্রাথমিক হ্রাস করবে। আরও সৈন্য হ্রাস মুলত শান্তি আলোচনার অগ্রগতির ভিত্তিতে এবং স্থলভাগে অবস্থিত হবে। আফগানিস্তানের জনগণ চার দশক যুদ্ধের পরে আশা চায় এবং তার প্রাপ্য, যা দেশটিকে বিশ্বের দরিদ্রতম ও সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় ফেলেছে।
পররাষ্ট্রসচিব ডোমিনিক রাব বলেছেন, ‘‘এই চুক্তিগুলি আফগানিস্তানের শান্তির সন্ধানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত চিহ্নিত করে। সহিংসতার বর্তমান হ্রাস স্বাগত এবং আমি আশা করি এটি বজায় থাকবে তবে আফগান নেতৃত্ব এবং তালেবানদের মধ্যে অর্থবহ আলোচনাই আসল পুরষ্কার এবং আমি আশা করি যে এই সুযোগটি সার্থক হয়ে উঠবে। রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি অর্জনের একমাত্র উপায়।’’
এদিকে বিশ্বনেতারাও এই শান্তি চুক্তিকে সাধুবাধ জানিয়েছেন। আফগানিস্তানে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য একে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে আখ্যায়িত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে এই চুক্তির প্রশংসা করেন।
অন্যদিকে তালেবানরা এই চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে। কাতারে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রাহমান আল থানি বলেছেন, তাদের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্ভব হয়েছে। সাধুবাদ জানিয়েছে সৌদি আরব, ন্যাটো, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button