বার্মিংহাম মসজিদে হামলা: ইরানী শিয়ার কারাদন্ড

বার্মিংহামের ৫টি মসজিদে হামলা ও ভাংচুরের অপরাধে এক শিয়াকে ৩ বছর ৯ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ইরানী বংশোদ্ভূত আরমান রেজাজাদেহ পেরি বার, অ্যাস্টন ও এরডিংটনের মসজিদগুলোতে হামলা চালিয়ে এগুলোর দরোজা জানালাসমূহ ভাংচুর করে। ভাংচুর কালে সে স্লেজহাতুড়ি ব্যবহার করে। ৩৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ধর্মীয় উত্তেজনা থেকে এটা করেছে বলে স্বীকার করেছে।

বিচারক মাইকেল চেম্বারস কিউসি বলন, রেজাজাদেহ ‘ধর্মীয় ঘৃণাবোধের দ্বারা উদ্বুদ্ধ’ ছিলো এবং তার আক্রমনের শিকার সবগুলো মসজিদই সুন্নী মুসলমানদের ব্যবহৃত। সন্ত্রাস বিরোধী পুলিশ রেজাজাদেহের হামলাগুলোকে একটি বড়ো ধরণের ঘৃণাপ্রসূত অপরাধের ঘটনা হিসেবে গণ্য করে তদন্ত করে। বার্মিংহাম ক্রাউন কোর্টে এর শুনানী হয়।

রেজাজাদেহ উইট্টন ইসলামিক সেন্টার, আল-হাবিব ট্রাস্ট ও জামিয়া মসজিদ গাউসিয়াতে হামলায় ১১ হাজার পাউন্ডেরও বেশী ক্ষতি সাধন করে। এই মসজিদগুলো অ্যাস্টনে অবস্থতি। হামলার শিকার অপর একটি মসজিদ মাদ্রাসা ফয়জুল ইসলাম পেরি বারে এবং জাম-ই-মসজিদ কিবলাহ হাধরাত সাহিব গুলহার শরীফ এরডিংটনে অবস্থিত।

প্রসিকিউরটর টম ওয়াকিং বলেন, হামলাগুলোর ঠিক আগে বিবাদী ইরানী নববর্ষ উদযাপন করতে মদ্যপান করছিলো এবং গাঁজা সেবনের সাথে সংশ্লিষ্ট মানসিক সমস্যার একটি ইতিহাসও রয়েছে তার।

হ্যা-সওয়ার্থের গ্রীনহিলের বাসিন্দা রেজাজাদেহ আত্মসমর্পণ করে হামলার বিষয়টি স্বীকার করে। মিথ্যা ধর্মীয় শিক্ষা দানের বিষয় ‘প্রকাশের’ একটি সুযোগ নিতে সে এমনটি করে বলে আদালতকে জানায়। উইট্টন ইসলামিক সেন্টারের জাভিদ ইকবাল বলেন, জড়ো হওয়া ব্যক্তিরা হতাশ হন এমন হামলায়। তবে সৌভাগ্যক্রমে কেউ মারাত্মকভাবে আহত হননি। বিচারক চেম্বারস দন্ডাদেশ প্রদান করে বলেন, অপরাধটি ‘পরিকল্পিত ও পূর্বভাবনা প্রসূত’।

তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতির ব্যাপারে বার্মিংহামের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তা শুধু মাত্র বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে নয়, ধর্মের অভ্যন্তরেও। অথচ তুমি সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এবং মারাত্মকভাবে এর বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটন করেছো।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় যে ক্ষতি হয়েছে তা চরম বাস্তবতা – স্থানীয় ও ব্যাপক মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর এর আঘাতটি বড়ো ধরনের।’

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button