পার্টি প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন থেরেসা মে

কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ শুক্রবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে তার উত্তরসূরী নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী পদেই বহাল থাকবেন। দুই সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মে। ওই সময় কান্নারত অবস্থায় নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে মে বলেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করে যেতে না পারার কারণে তিনি গভীরভাবে অনুতপ্ত।

কনজারভেটিভ পার্টির ১১ জন নেতা দলীয় প্রধান ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে লড়াই করছেন। আগামী সোমবার ব্রিটিশ সময় সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র দেয়া শুরু হবে। ওইদিনই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দেয়া শেষ হবে। এদিকে নেতা নির্বাচনের এই লড়াই শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত মে ভারপ্রাপ্ত নেতা হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে নিজের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা তিনবার পার্লামেন্টে তোলার পর তা পাস করাতে ব্যর্থ হন মে। যদিও তার ওই পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এমন পরিস্থিতিতে গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন থেরেসা মে। তিনি জানান, ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে তার পরিকল্পনার স্বপক্ষে এমপিদের সমর্থন পেতে তিনি সবকিছু করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তাই এখন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের দায়িত্ব নতুন প্রধানমন্ত্রীর কাঁধে ন্যস্ত করতে চাই।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে থেরেসা মে ইংল্যান্ডের বার্কশায়ারের মেইডেনহেড আসন থেকে প্রথমবারের মত সাংসদ নির্বাচিত হন। দলের মধ্যে বেশ দ্রুতই তিনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। ২০১০ সালে লিবারেল ডেমোক্র্যাটের সঙ্গে জোট করে কনজারভেটিভ দল ক্ষমতায় এলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (হোম সেক্রেটারি) মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান মে। ৬ বছর তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালের জুনে ব্রেক্সিট গণভোটে হারের দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তখন দৃঢ় মনোবলের অধিকারী মে প্রতিযোগীদের ডিঙিয়ে নাটকীয়ভাবে দলীয় প্রধান নির্বাচিত হন এবং একই সঙ্গে ক্যামেরনের উত্তরসূরি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button